ফোনে কথা বলার আগে ‘হ্যালো’ বলা হয় কেন? ৯০% মানুষের কাছে অজানা

ফোন তুললেই তো ‘হ্যালো’ বলতে হয়, কিন্তু এই শব্দটা কীভাবে এসেছে জানেন

‘Hello’: এখন প্রায় ৯০% মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আপনি কী জানেন এই যে আমরা যে ফোন তুলেই ‘হ্যালো’ (Hello) শব্দটি বলি, এটি কোথা থেকে উৎপত্তি হল বা কে প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এই ‘হ্যালো’ শব্দটি। তো চলুন এই বিষয়ে জানা যাক। 

বেশির ভাগ মানুষই ফোন তুলে “হ্যালো” বলেন। তার আগে জানতে হবে আমাদের ‘মোবাইল ফোন’ এর মানে। মোবাইলের অর্থ ‘ভ্রাম্যমান’ আর ফোনের অর্থ ‘যোগাযোগ’। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অর্থ ‘ভ্রাম্যমান যোগাযোগ’ বা যার মাধ্যমে ভ্রাম্যমান অবস্থায় যোগাযোগ করা যায়।

Image

আমরা প্রায় সকলেই জানি টেলিফোনের আবিষ্কারক হলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। ফোন কী জিনিষ তা তার হাত ধরেই পৃথিবীর সকল মানুষ চিনেছিলেন। প্রথম দিকে ফোন গ্রাহাম বেল (Graham Bell) আবিষ্কার করেছিলেন, তারপর থেকে আজ পর্যন্ত সেই ফোনের চেহারা ও অনেক বদল ঘটেছে। ধীরে ধীরে সবার হাতে এসেছে মোবাইল।

মোবাইলে বার্তালাপের সময়ই এই ‘হ্যালো’ শব্দটি প্রত্যেকেই ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই এই হ্যালো শব্দের উৎপত্তি নিয়ে অবগত নন। জানা যায়, গ্রাহাম বেলের সবচেয়ে কাছের বান্ধবীর নাম ছিল মার্গারেট হালো (Margaret Halo), তার নাম অনুসারেই নাকি ‘হ্যালো’ শব্দের উৎপত্তি।  

গ্রাহাম বেল তার এই বান্দবীকে ভালবেসে ‘হেলো’ বলেই ডাকতেন। সেই ‘হেলো’ থেকে তা হয় ‘হ্যালো’। অর্থাৎ প্রেমিকাকে ভালবেসে ডাকা নামই পরবর্তীতে বিশ্ববিখ্যাত হয়ে ওঠে। এখনও সেই ‘হ্যালো’ই ফোনের উত্তরের একমাত্র শব্দ হিসেবেই রয়ে গেছে। তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারলেন যে ফোন করলে উল্টোদিক থেকে ‘হ্যালো’ শব্দটি কোথা থেকে এলো।