Execution of the criminal: ভারতবর্ষে সর্বদা মৃত্যুদণ্ড সূর্যোদয়ের আগে অর্থাৎ ভোর বেলায় দেওয়া হয়। ব্রিটিশ আমলেও জেলখানায় সূর্য ওঠার আগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো এবং বর্তমানেও সেই প্রথা চালু রয়েছে। তবে জানা গিয়েছে ভোরের ফাঁসির কার্যকরের তিনটি কারণ রয়েছে যেগুলি প্রশাসনিক, ব্যবহারিক ও সামাজিক দিক থেকে জড়িত।
সাধারণত ফাঁসি একটি বিশেষ ঘটনা। এটা দিনের বেলায় হলে জেলের পুরো ফোকাস থাকবে এর দিকে। তাই এটি এড়ানোর চেষ্টা করা হয় যাতে সারাদিন কারাগারের অন্যান্য কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত না হয়। আসলে ফাঁসির পর ডাক্তারি পরীক্ষা এবং তারপর নানা ধরনের কাগজপত্র এইসব নিয়ে অনেক সময় লাগে।
বলা হয় ভোরবেলায় মানুষের মন শান্ত থাকে, তাই ঘুম থেকে ওঠার পর ফাঁসিতে ঝুলে গেলে তেমন শারীরিক চাপের শিকার হতে হয় না। যদি দিনের বেলায় ফাঁসি দেওয়া হয় তাহলে দোষীর মানসিক চাপ ও শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
যাকে ফাঁসি দেওয়া হয় তাকে ভোর ৩টে উঠতে হয় এবং যাতে সে ফাঁসির আগে সমস্ত কাজকর্ম করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রার্থনা এবং একান্তে কিছু সময় নিজের সম্পর্কে চিন্তা করা ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় কথা হলো ফাঁসির পর লাশ ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় যাতে তারা তাদের গন্তব্যে নিয়ে যায় এবং দিনেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারে।
ফাঁসির আরেক দিকটি হল সামাজিক। যেহেতু এটি একটি বিশেষ আয়োজন তাই এটি ব্যাপকভাবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ কারণে কারাগারের বাইরে বিশাল ভিড় ও হট্টগোল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মানুষ জেগে ওঠার আগে পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
যাকে ফাঁসি দেওয়া হয় সে সাথেসাথে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচলর ও শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফাঁসিতে ঝোলানোর পর ৫ মিনিট থেকে ২০-২৫ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হয়ে থাকে। এরপর চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা করে দোষী ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।