উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে মুরগি ব্যবহার করা হয় কেন, জানলে চমকে যাবেন

Chicken Gun: সাধারণত মুরগির (Chicken) নাম শুনলে আমাদের মনে কোন না কোন খাবারের কথা মনে আসে। কিন্তু এই প্রতিবেদনে মুরগি খাওয়ার কথা বলা হয়নি। বরং এখানে ‘চিকেন গান’ অর্থাৎ মুরগির বন্দুকের সম্পর্কে বলা হয়েছে। যদিও খুব কম মানুষই এই ‘চিকেন গান’ সম্পর্কে জেনে থাকবেন। তবে পুলিশ বা গুন্ডা এই ধরনের বন্দুক ব্যবহার করে না। তাহলে এখন প্রশ্ন হল মুরগির বন্দুক কী এবং কেন এই বন্দুক ব্যবহার করা হয়?  

আসলে, মুরগির বন্দুক বা ‘চিকেন গান’ বিমানের ইঞ্জিন (Aircraft Engines) পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। একটি বিমানের ক্ষেত্রে তার ইঞ্জিন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। এই কারণেই একটি বিমানে একাধিক ইঞ্জিন থাকে। একাধিক ইঞ্জিন থাকার কারণ হলো একটি ইঞ্জিন যদি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে অন্য ইঞ্জিনটি চালু হয়ে যায় এবং দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।  

Image

তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বিমানটি যখন টেক অফ করে বা আকাশে উড়ে যাওয়ার সময় উভয় ক্ষেত্রে কিছু পাখি বিমানের ইঞ্জিনের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং সরাসরি ইঞ্জিনের ফ্যানের সাথে ধাক্কা খায়। এ কারণে বিমানের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। প্রকৌশলীরা (Engineers) যখন বিমানের ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন, সেই সময় তারা চেয়েছিলেন যে ইঞ্জিনটি পরীক্ষা করা হোক।

Image

প্রকৌশলীরা পরীক্ষা করতে চেয়েছিল যে একটি পাখি ইঞ্জিনে আঘাত করলে ইঞ্জিনের কোন ক্ষতি হবে না, কিন্তু তারা এই ধরনের পরীক্ষা করতে পারেননি। আসলে এটি করার জন্য তাদের একটি জীবন্ত পাখিকে ইঞ্জিনের দিকে ছুড়ে দিতে হত, ফলে পাখিটি মারা যেত। আর এই ধরনের পরীক্ষা সারা বিশ্বের পাখিপ্রেমীদের দ্বারা অনুমোদিত নয় বা আইনও নয়। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য ‘চিকেন গান’ উদ্ভাবন করা হয়। 

Image

১৯৫০ সালে প্রথমবার ‘চিকেন গান’ আবিষ্কৃত হয়েছিল। এটি একটি ছোট কামানের মত। আসলে এই বন্দুকের মধ্যে গুলির পরিবর্তে মৃত মুরগি রেখে গুলি করা হতো। গুলি চালানোর সাথে সাথে ই মৃত মুরগিটি জীবন্ত পাখির মতো বিমানের ইঞ্জিনে আঘাত করে। এভাবে ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হয় যে কোনও পাখি আঘাত করলে সেই ইঞ্জিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা। এই পরীক্ষা করার পরই বিমানে ইঞ্জিন বসানো হয়।