কখনও লক্ষ্য করেছেন আপনার লোকাল বা অন্যান্য রেলস্টেশনের বোর্ডে লাল রঙের কি লেখা থাকে? এটা অবশ্য ভালো করে লক্ষ্য করলে আপনার নিজের এলাকার সম্পর্কে একটি তথ্য পেয়ে যাবেন। আসলে, ওই লাল রঙের সংখ্যা থেকে জানতে পারি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে রেলস্টেশনটি কতটা উচ্চতায় অবস্থিত।
এই প্রতিবেদনে দুটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে যা বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় পর্যটন শহরের। একটি হল দীঘা অন্যটি দার্জিলিংয়ের। তবে দার্জিলিংয়ের নয়, ছবিটি ঘুম রেলস্টেশনের। যা বাঙালির কাছে অত্যন্ত গর্বের যে সেটি ভারতবর্ষের সবচেয়ে উচ্চতম রেল স্টেশন।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দার্জিলিং এর ঘুম রেলস্টেশন ২ হাজার ২৫৮ মিটার (৭,৪০৭ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত। এত উচ্চতায় ভারতবর্ষে আর কোন রেল স্টেশন নেই। যা বাংলার জন্য একটি গর্বও। আর দ্বিতীয়টি সমুদ্র সৈকতের জন্য বিখ্যাত দীঘা রেলস্টেশন, যা ৭.৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
এটা সকলের জানা যে, ‘M.S.L.’ (মিন সি লেভেল) এই কথার অর্থ হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড় উচ্চতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, M.S.L. বিশেষ কারণে খুবই প্রয়োজনীয়। এমনকি এটি রেল স্টেশন তৈরি ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শুধু তাই নয়, কোন উচ্চতা থেকে কোন উচ্চতায় ট্রেন যাবে তার ওপর রেল ইঞ্জিনের শক্তি বাড়ানো কমানো নির্ভর করে। বেশি উচ্চতার ওঠার ক্ষেত্রে তখন ইঞ্জিনের বাড়তি শক্তি দরকার পড়ে। আর এই কারনেই রেল স্টেশনের উচ্চতা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষের প্রাচীনতম রেলস্টেশন বাংলার হাওড়ার M.S.L. হলো ১২ মিটার (৩৯ ফুট)। অন্যদিকে রাজধানী দিল্লির অন্যতম প্রধান রেল স্টেশন নিউ দিল্লির M.S.L. হলো ২১৪.৪২ মিটার (৭০৩.৫ ফুট)। রেলস্টেশনের এই লাল লেখাটি দেখেই বোঝা যায় আপনি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কতটা উঁচুতে রয়েছেন।