News
বার্ড ফ্লু কি? এর লক্ষন কি কি? এই পরিস্থিতিতে করণীয় ও অকরণীয়গুলি জানুন
পশ্চিমবঙ্গে সরকারিভাবে বার্ড ফ্লু নিয়ে কোনোরকম সতর্কতা জানি না হলেও ইতিমধ্যেই দেশের দশটি রাজ্যে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ ছড়িয়েছে। দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজস্থান ও দিল্লিতে। এখানকার খোলাবাজার গুলিতে মাংস বিক্রি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বার্ড ফ্লুর প্রকোপ দক্ষিণ ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। পূর্ব ভারতে তেমন কোনো প্রকোপ দেখা না দিলেও আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত।
∆ বার্ড ফ্লু কি?
বার্ড ফ্লু পাখিদের একধরনের জ্বর। কিন্তু এই জ্বরটির জন্য দায়ী একধরনের ভাইরাস, যার নাম এইচ ফাইভ এন ওয়ান(H5N1)। এই ভাইরাসটির প্রতিষেধক হয়তো আছে। বিশেষত এটি মুরগির দেহে এটি সংক্রামিত হয়, তবে এটা দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকলে এই ভাইরাসটি এমন কোন রূপ নিতে পারে, যা এমনকী মানুষের দেহে আক্রমণ করতেও সক্ষম হয়ে উঠতে পারে।
∆ বার্ড ফ্লু মানুষের জন্য কতটা বিপদজনক?
বার্ড ফ্লু মানুষের জন্য সাধারণত বিপজ্জনক নয়। তবে পোল্টি ফার্মে কর্মরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে অন্যান্য দেহে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
∆ বার্ড ফ্লু উপসর্গগুলি কি কি:-
১) মুরগীর পালক অমসৃণ হয়ে যায়।
২) মুরগীকে অবসাদগ্রস্ত বা ঝিমাতে দেখা যায়।
৩) অস্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে শুরু করে মুরগী।
৪) মুরগীর ঝুটিতে বেগুনীভাব চলে আসে এবং ফুলে যায়।
৫) ডিম দেওয়া কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে নরম খোসাযুক্ত ডিম পাড়ে।
৬) মাথা থেকে পা পর্যন্ত ফুলে যাওয়া। এমনকি পেট খারাপ পর্যন্ত হতে পারে মুরগির।
∆ পোষা পাখি মারা গেলে বা অসুস্থ হলে কি করবেন?
পাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে শীঘ্রই চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করান। সুস্থ পাখিদের থেকে তাদের আলাদা রাখুন। ওই পাখির খাঁচা পরিষ্কার করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করুন। পাখিটি মারা গেলে প্লাস্টিকের ব্যাগ এর মধ্যে ভরে তার মুখটি ভালো করে বাঁধুন। ফেলে আসার পর সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
∆ করণীয়:
১) পোল্ট্রি ফার্মে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন এবং ফিরে এসে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
২) মুরগির ডিম ভালো করে সেদ্ধ করুন।
৩) ধরে নিন যে প্রতিটি পোল্ট্রি সংক্রমিত তাই সেগুলিকে জীবাণুমুক্ত করুন।
৪) পোল্ট্রি ফার্মে ব্যবহৃত সমস্ত যন্ত্রপাতি গুলিও জীবাণুনাশক পদার্থ দিয়ে পরিষ্কার করুন।
∆ অকরণীয়:
১) এই সময়ে পাচঁ বছর কম বয়সী শিশুদের একেবারেই পোল্ট্রি ফার্ম এর ধারে-কাছে যেতে দেবেন না। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে।
২) পাখিরা যেসব জায়গায় থাকে বা ঘুরে বেড়ায় সেখানকার পানীয় বা কোন খাবার গ্রহণ করবেন না।
৩) শৌচাগারে বা রান্নাঘরে মুরগির ছানা রাখবেন না।
৪) যেহেতু বার্ড ফ্লুর সময় তাই কোনো পোষা পাখি বা মুরগির মুখে বা ঠোঁটে আদর করবেন না।
