রেল স্টেশনের বোর্ডের নিচে লাল রঙের কী লেখা থাকে? জানলে আপনিও অবাক হবেন

যে কারণে রেলস্টেশন বোর্ডে এই লাল রঙের লেখাটি থাকে?

Indian Railways: ১৮৫৩ সালে প্রথমবারের মতো রেলের চাকা গড়িয়েছিল ভারতে। এরপর সময় যত এগিয়েছে রেলের উন্নতির হয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম। এর মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। তবে রেল সম্পর্কিত তথ্যগুলি খুব কম মানুষই জানেন। এর মধ্যে তেমন একটি হল প্রতিটি রেল স্টেশনের বোর্ডে লাল রঙের কি লেখা থাকে? এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…

যখনই আমরা কোথাও ভ্রমণ করি সেখানকার স্টেশনের স্থানীয় ভাষায় বা ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় অনেক কিছু লেখা থাকে। সাধারণত স্টেশনের নামটাই দেখি এবং আরো অনেক কিছুই লেখা থাকে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন রেলস্টেশনের বোর্ডে লাল রঙের কি লেখা থাকে কেন বা এর সাথে ট্রেনের সম্পর্ক কি? 

Image

আসলে এটি হল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা (Sea level)। এটি যাত্রীদের নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত। এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন ট্রেনে আমরা যখন সমতল বা পাহাড়ি এলাকায় ভ্রমণ করছি তাহলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার সাথে সম্পর্ক কি? আমাদের দেশের প্রতিটি অঞ্চল বা রাজ্য কোথায় উঁচু আবার কোথাও নিচু। ভারতীয় রেল তার পরিমাপের জন্য একটি মান হিসেবে সমুদ্রস্তর ব্যবহার করে।

যাত্রীদের জন্য এই লেখাগুলো কোন ব্যাপার না, কিন্তু ট্রেন চালকদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন প্রতিটি স্টেশনের ট্রেন থামে তখন লোকোপাইলট সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দেখে বুঝতে পারেন যে ট্রেনটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার দিকে যাচ্ছে নাকি নিচের দিকে। আসলে রেলপথ সব জায়গায় সমতল নয়।

Image

লোকো পাইলটরা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দেখে যদি জানতে পারেন যে তারা উচ্চতার দিকে যাচ্ছে তখন ইঞ্জিনের শক্তিকে অর্থাৎ টর্ক বাড়িয়ে দেয়। যদি এমনটা না করে, তাহলে ট্রেনটি যে গতিতে ছুটবে তাতে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারবে না। একইভাবে নিচের দিকে যাওয়ার সময় ইঞ্জিনের শক্তি কম করে ট্রেনের গতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর ফলে কোন দুর্ঘটনা ঘটে না। তাই সমস্ত রেল স্টেশনের বোর্ডে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা লেখা থাকে।