Rashmika Mandana Life Story: রশ্মিকা মান্দানা সবচেয়ে সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন, তাকে অবশ্য প্রতিদিন ক্যামেরাম্যানদের সামনে বিভিন্ন পোজ দিতে দেখা যায়। তবে তার প্রতিটি ছবিতে একটি জিনিস কমন থাকবে, সেই সুন্দর হাস্যজ্জল ছবি। কর্ণাটকের বাসিন্দা রশ্মিকা ২৬ বছর বয়সে যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা অর্জন করতে মানুষের গোটা জীবন ব্যয় হয়। একজন সাধারণ মেয়ে থেকে ‘ন্যাশনাল ক্রাশ’ হয়ে ওঠা পর্যন্ত তার যাত্রা আশ্চর্যজনক।
রশ্মিকা মন্দানা ১৯৯৬ সালের ৫ই এপ্রিল কর্ণাটকের কোডাগুর ভিরাজপেটে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা এবং স্কুল জীবন শুরু হয়। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। তিনি ইংরেজি, সাহিত্য, মনোবিজ্ঞান, এবং সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পড়াশোনায় সে টপার ছিল। ২০১৪ সালে তার কলেজের একটি ঘটনা ঘটে যা তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হয়।
কলেজে থাকাকালীন, তিনি ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফ্রেশ ফেস প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। একজন পরিচালক তাকে ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার এর একটি বিজ্ঞাপনে দেখেছিলেন এবং তাকে তার চলচ্চিত্র কিরিক পার্টি-তে সুযোগ দিয়েছিলেন। এই সিনেমা দিয়েই অভিনয় জগতে পা রাখেন রশ্মিকা। ছবিটি বক্স অফিসে সুপারহিট হয় এবং সেই বছরই কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে।
ছবির প্রথম থেকেই ভক্তদের ঘুম কেড়ে নেন তার মিষ্টি হাসি এবং চমৎকার অভিনয়। তিনি সেরা নবাগত অভিনেত্রীদের মধ্যে SIMA পুরস্কার পান। এরপর তাকে আর পিছন ফিরে কখনো তাকাতে হয়নি। সেই থেকে আজ অব্দি ব্যাক টু ব্যাক হিট ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন। তবে ‘পুষ্পা’ ছবির পর্দার জনপ্রিয়তা ছেয়ে যায়। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষিণের সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত অভিনেত্রীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
তবে খুব কম লোকই জানেন যে আজ কোটি কোটি টাকা আয় করা রশ্মিকার বাবা-মা প্রবল আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। রশ্মিকা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একটা সময় ছিল যখন বাড়ি খুঁজে পেতে তার বাবা-মাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, ভাড়া দেওয়ার মতো টাকাও ছিল না। অবস্থা এতটাই খারাপ যে তাদের মেয়ের জন্য একটি খেলনাও কিনতে পারেনি। শৈশবের এই দারিদ্র দেখে তিনি আজ তার কষ্টার্জিত অর্থকে মূল্য দেয়।
রশ্মিকা যখন অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তখন তার এই সিদ্ধান্তে বাবা-মার কাছ থেকে খুব বেশি সমর্থন পাননি। কিন্তু তিনি যে অভিনেত্রী হওয়ার আদর্শ, তা মা-বাবাকে বুঝিয়ে দেন। যদিও তাকে খুব একটা চেষ্টা করতে হয়নি। আজ রশ্মিকার সাফল্য দেখে তার বাবা-মা গর্বিত।