আজ ভারতের জাতীয় পতাকা তেরঙ্গা—র জন্মদিন। ১৯৪৭ সালে ২২শে জুলাই এই দিনে ভারতীয় গণপরিষদ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সাথে তেরেঙ্গাকে গ্রহণ করে। এর কিছুদিন পরেই ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। জানিয়ে রাখি এই পতাকাটির নকশা করেছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। তবে জাতীয় পতাকা ব্যবহারে যথেষ্ট বিধিনিষেধ রয়েছে।
কোন ভারতীয় নাগরিক যদি এই পতাকা ব্যবহারে অবমাননা করেন, তাহলে তার আইন অনুযায়ী কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি হতে পারে।
👉🏻 এবার সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক:-
১) ভারতীয় আইন অনুসারে কেবলমাত্র খাদিবস্ত্রেই জাতীয় পতাকা তৈরি করার নিয়ম রয়েছে। এছাড়া পতাকা প্রস্তুতিরও কয়েকটি নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে।
২) জাতীয় পতাকা কোন অবস্থাতেই যেন জলে কিংবা মাটিতে না পড়ে। এটি এমন ভাবে রাখা উচিত যাতে কোনভাবে ক্ষতি না হয়।
৩) জাতীয় পতাকা অর্ধেক উত্তোলন কিংবা উল্টো করে উত্তোলন করলে, তা দেশের পক্ষে অপমানজনক।
৪) পরনের পোশাকে যেন কোন রকম জাতীয় পতাকার ব্যবহার করা না হয়।
৫) দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত রুমাল, ন্যাপকিন কিংবা চাদরে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
৬) জাতীয় পতাকা দিয়ে বাড়ি কিংবা মূর্তি অথবা কোনো যানবাহনের আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করলে কঠিনতর শাস্তি হতে পারে।
৭) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলে সূর্যাস্তের সময় অবশ্যই নামিয়ে ফেলা উচিত।
৮) জাতীয় পতাকাকে ক্ষতিগ্রস্ত, নোংরা কিংবা ফেলে দেওয়া বা অমর্যাদার সাথে নষ্ট করলে কঠিন শাস্তি হতে পারে।
৯) জাতীয় পতাকার উপরে কিছু লেখা যাবে না। কেবলমাত্র প্রজাতন্ত্র দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের সময় কেবল ফুল ছাড়া অন্য কিছু রাখা যাবে না।
১০) জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করলে (আগুন লাগিয়ে দেওয়া, ছিঁড়ে ফেলা বা কোনোভাবে অপমান করা) সেই ব্যক্তির তিন বছর জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে পারে।