আজ ১০ সেপ্টেম্বর, ২৪ ভাদ্র, শুক্রবার শ্রী শ্রী গণেশ চতুর্থী। দেবাদিদেব মহাদেব ও দেবী গৌরীর পুত্র হলেন গণেশ। গণেশ সিদ্ধিদাতা অর্থাৎ তিনি একজন সাফল্য প্রদানকারী দেবতাদের মধ্যে একজন। হিন্দু শাস্ত্র মতে বলা হয়েছে, তিনি সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং বুদ্ধিদাতার প্রতীক।
সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মের সময় দেবী দুর্গা ব্রহ্মান্ডের সকল দেব দেবীকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেই সাথে শনিদেবকেও আমন্ত্রণ করেন তার শিশুপুত্রের মুখ দেখে আশীর্বাদ করার জন্য। তবে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শনিদেব গৌরী-পুত্রকে দর্শন করতে আসেন। কিন্তু শনিদেব দর্শন করার সাথে সাথে গণেশের মস্তক ভস্মীভূত হয়।
এমন অবস্থায় ভগবান বিষ্ণুর প্রচেষ্টায় হাতির মাথা প্রতিস্থাপন করে গণেশের পুনর্জীবন দান করা হয়। এমনটা দেখে ক্রুদ্ধ হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দুর্গা। চিন্তিত হয়ে ভাবেন এবার গণেশ কি আদৌ দেবতা রূপে পূজিত হবেন! তবে সমস্ত দেবতাদের আশীর্বাদে শ্রী গজানন সিদ্ধিলাভের দেবতার স্থান পান। ঠিক এই কারনে সমস্ত শুভকর্মের এমনকি সমস্ত পূজার শুরুতে সিদ্ধিদাতার পূজা বিধি মানা হয়। তার আশীর্বাদেই সমস্ত কর্মে সাফল্য মেলে।
স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থ তিথিতে সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্ম হয়। এই দিনে শ্রীগজানন আশীর্বাদ প্রদানের উদ্দেশ্যে মর্ত্যে আগমন করেন। ভক্তিভরে উপসনা করলে সিদ্ধিদাতা গণেশের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।