স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই রেলপথটি আজও ব্রিটিশদের দখলে রয়েছে

Indian Railway: ভারতীয় রেল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক (railway network)। আপনি রেল ভ্রমণের মাধ্যমে দেশের যেকোন প্রান্তে পৌঁছাতে পারেন। তবে ভারতে এমন একটি রেলপথ রয়েছে ভারতের মালিকাধীন নয়, আজও ব্রিটিশদের (British) দখলে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই সত্যি।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর বেশি সময় পার হয়ে গেছে, তবুও এই রেলপথটি ব্রিটিশদের দখলে রয়েছে। এই রেলপথ শকুন্তলা (Shakuntala) রেলপথ নামে পরিচিত। ব্রিটিশ আমলের রেলপথটি অমরাবতী থেকে মহারাষ্ট্রের মর্তুজাপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার প্রসারিত। আসলে সেই সময় অমরাবতীতে তুলা চাষ হতো এবং ব্রিটিশরা মুম্বাই বন্দরে (Mumbai port) তুলা নিয়ে যাওয়ার জন্য এই রেলপথটি তৈরি করেছিল। 

Image

ব্রিটিশ আমলে শকুন্তলা প্যাসেঞ্জার নামে একটি ট্রেন চলত বলে, এই রেলপথটিরও নাম হয়ে যায় শকুন্তলা রেলপথ। বাষ্পীয় ইঞ্জিন দ্বারা পাঁচটি বগি নিয়ে ছুটত এই ট্রেন। আপনি যদি এই রেলপথে যান তাহলে দেখতে পাবেন সংকেত থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসগুলি সবই ব্রিটিশ আমলের। শকুন্তলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি প্রায় ১৭টি স্টেশনের থামে এবং ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা শেষ করে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এই রেলপথের মালিকানা ব্রিটেনের দখলে চলে যায়। ১৯৪৭ সালে যখন ভারত স্বাধীন হয় তখন ভারতীয় রেলওয়ে এই বৃটেনের কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি করে, যে কারণে ভারতীয় রেলওয়েকে আজও প্রতিবছর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার কর দিতে হয়। যদিও ভারতীয় রেল বহুবার এটি কেনার প্রস্তাব দিলেও এখনো পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।

শকুন্তলা রেলপথটি অনেক পুরনো হওয়ায় জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যদিও ভারত সরকার প্রতিবছর এই ব্রিটিশ রেলওয়ে কোম্পানিকে কোটি টাকার কর প্রদান করে, কিন্তু এখনো এই রেলওয়ের মেরামতের কাজ গত ৬০ বছর ধরে হয়নি। এ কারণে ট্রেনটির গতিবেগ এখন ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার। যদিও ২০২০ সাল থেকে এই ট্রেনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, তবে এলাকাবাসীরা আবার চালু করার দাবি করছে।