Cricket
বোলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান ওঠেন এই ৫ ক্রিকেটার
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলির মধ্যে ক্রিকেট হলো সবার সেরা। এই খেলায় যুক্ত হয়ে অনেক ক্রিকেটারের জীবন রাতারাতি বদলে গিয়েছে। তবে কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন যাদের স্বপ্ন ছিল বল করার কিন্তু হয়ে উঠেছেন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। চলুন তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
১) রবি শাস্ত্রী:
বর্তমানে ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ পদে রয়েছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি জাতীয় দলের হয়ে একজন বোলার হিসেবে অভিষেক করেছিলেন এবং ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামতেন। বছর দেড়েক পরে তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখে ওপেনিং করার সুযোগ পেলেন।
পরিসংখ্যানের কথা বললে, ৮০টি টেস্টে ৩৮৩০ রান ও ১৫১টি উইকেট নেন এবং ১৫০টি ওয়ানডে ম্যাচে ৩১০৮ রান ও ১২৯টি উইকেট নিয়েছিলেন।
২) ক্যামেরন হোয়াইট:
অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার একজন বোলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট উইকেট নেন শচীন টেন্ডুলকারের। তবে বোলার হিসেবে সফল হন পরবর্তীকালে একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হয়েছিলেন।
পরিসংখ্যানের কথা বললে, ৯১টি ওডিআই ম্যাচে ২টি সেঞ্চুরি ও ১৬ টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ২০৭২ রান করেন এবং ১২ টি উইকেট নেন। এছাড়াও ৪৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৯৮৪ রান করেন।
৩) স্টিভ স্মিথ:
বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় রয়েছেন স্টিভ স্মিথ। তিনি একজন স্পিন বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন। এরপর তিনি একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে তৈরি করলেন। বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছেন।
পরিসংখ্যানের কথা বললে, ৭৩টি টেস্টে ৭২২৭ রান সহ ২৬টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, ১২৫টি ওডিআইতে ৯ টি সেঞ্চুরি সহ ৪১৬২ রান করেন।
৪) শোয়েব মালিক:
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হলেন শোয়েব মালিক। একজন অফ স্পিনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। এরপর তিনি দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছিলেন।
পরিসংখ্যানের কথা বললে, ৩৫টি টেস্ট ম্যাচে ১৮৯৮ রান ও ৩২টি উইকেট। ২৮৭টি ওডিআইতে ৭৫৩৪ রান সহ ৯টি সেঞ্চুরি ও ১৫৮টি উইকেট এবং ১১৩টি টি-টোয়েন্টিতে ২৩২১ রান ও ২৮টি উইকেট নেন।
৫) সনৎ জয়সুরিয়া:
শ্রীলংকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সনৎ জয়সুরিয়া একজন বোলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে ওপেনার হিসেবে খেলতে শুরু করলে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই বছর শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এবং তিনি ব্যাটিংয়ে যথেষ্ট অবদান রেখেছিলেন।
পরিসংখ্যানের কথা বললে, ১১০টি টেস্টে ১৪টি সেঞ্চুরিসহ ৬৯৭৩ রান করেন ও ৯৮টি উইকেট নেন। আর এদিকে ৪৪৫টি ওডিআই ম্যাচে ২৮টি সেঞ্চুরিসহ ১৩,৪৩০ রান করেন ও ৩২৩ টি উইকেট নেন।
