আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি আসার পরে ব্যাটসম্যানেরা আগের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। এখানে প্রতিটি খেলোয়াড় বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্রুতগতিতে রান তোলার চেষ্টা করেন। এই প্রতিবেদনে এমন ৫ জন ব্যাটসম্যানের কথা বলা হয়েছে, যারা একটি ওয়ানডে ম্যাচে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে একটি বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
৫) মার্টিন গাপটিল: ২৪টি
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তিনি ১৬৩ বলে অপরাজিত ২৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৩৯৩ রানে পৌঁছে দেন। এটিই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এবং তার ব্যাট থেকে আসে ১১টি ছক্কা ও ২৪টি বাউন্ডারি। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ২৫০ রানে গুটিয়ে যায়।
৪) সনাথ জয়সুরিয়া: ২৪টি
২০০৬ সালে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিধ্বংসী ওপেনার সনাথ জয়সুরিয়া দুরন্ত শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। তার ১৫৭ রানের (১০৪ বল) দুরন্ত ইনিংসের শ্রীলঙ্কা ৪৪৩ রানের স্কোরবোর্ড খাড়া করে। তার ইনিংসে সাজানো ছিল ১টি ছক্কা ও ২৪টি বাউন্ডারি। জবাবে নেদারল্যান্ড ২৪৮ রানে অলআউট হয়।
৩) বীরেন্দ্র শেহবাগ: ২৫টি
২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে বীরেন্দ্র শেহবাগ নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তিনি ১৪৯ বলে ২১৯ রান করেন এবং ভারতীয় দলের স্কোর বোর্ড গিয়ে দাঁড়ায় ৪১৮ রানে। এটিই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এবং তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৭টি ছক্কা ও ২৫টি বাউন্ডারি। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ২৬৫ রানে গুটিয়ে যায়।
২) শচীন টেন্ডুলকার: ২৫টি
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি ১৪৭ বলে ২০০ রানে অপরাজিত থাকেন এবং ভারতীয় দল ৪০১ রান তোলে। এটিই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এবং তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৩টি ছক্কা ও ২৫টি বাউন্ডারি। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৮ রানে গুটিয়ে যায়।
১) রোহিত শর্মা: ৩৩টি
২০১৪ সালে ইডেন গার্ডেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা। তার ঐতিহাসিক ২৬৪ রানের (১৭৩ বল) দৌলতে ভারতীয় দল ৪০৪ রান তোলে। এটিই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এবং রোহিতের এই ইনিংসে সাজানো ছিল ৯টি ছক্কা ও ৩৩টি বাউন্ডারি। জবাবে শ্রীলঙ্কা দল ২৫১ রানে অলআউট হয়।