স্বাধীনতা দিবস: এই ৪টি ঐতিহাসিক বিদ্রোহ যা দাসত্ব থেকে মুক্তি এনেছিল

ইংরেজদের শাসন ও শোষণের প্রায় ২০০ বছর পর ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে। এই বছর স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হবে। এই বিশেষ উপলক্ষে দেশে পালিত হচ্ছে ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব’। এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে আমরা যে স্বাধীনতা নিয়ে বেঁচে আছি, তা কিভাবে পেলাম এবং এই স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে কি কি বিদ্রোহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

১) ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ:

Image

১৮৫৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ হয় যা সিপাহী বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ক্রমশ এই বিদ্রোহ গোটা উত্তর ও মধ্য ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল। সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, মহাবিদ্রোহ নামেও অভিহিত করা হয়। এই বিদ্রোহে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মী বাঈ ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে লোকনায়কে পরিণত হন।

২) নীল বিদ্রোহ:

Image

ভারত নীল চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় ব্রিটিশ নীলকরেরা নীলচাষে বিপুল পুঁজি বিনিয়োগ করে। উনিশ শতকের শেষের দিকে নীলচাষ অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক না হওয়ায় কৃষকরা ধান ও পাট চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ব্রিটিশ নীলকরেরা অত্যাচার আর নিপীড়নের মাধ্যমে নীলচাষে বাধ্য করলে আন্দোলন গড়ে ওঠে যা নীল বিদ্রোহ নামে পরিচিত (১৮৫৯ সাল)। এরই ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে বাংলায় নীল চাষ বিলুপ্ত হয়।

৩) চৌরিচৌরা কেলেঙ্কারি:

Image

১৯২২ সালে চৌরিচৌরা থানায় পুলিশ অফিসার গুপ্তেশ্বর সিংহ প্রকাশ্যে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা শহীদদের মারধর করা শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে সত্যাগ্রহীরা ব্রিটিশ পুলিশদের উপর পাথর ছুড়ে ছিল, যার বিনিময়ে গুলি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ৩ জন মারা যান। এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীরা এক হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমে লিপ্ত হয়ে পুলিশ চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ২২ জন পুলিশের মৃত্যু হয়। 

৪) আজাদ হিন্দ ফৌজ:

Image

আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এই সশস্ত্র বাহিনী ১৯৪২ সালে নেতাজি দ্বারা গঠিত হয়ে এক বছরের মধ্যে একটি ব্রিটিশ শাসনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। বলা হয়, এই সেনাবাহিনীতে প্রায় ৮৫ হাজার সৈন্য ছিল যারা দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন।