বহু দেশ বিদেশ থেকে মানুষজন এই স্বর্গে যাওয়ার সিঁড়িটি দেখতে ছুটে আসেন। তবে সম্প্রতি এক খবরে প্রকাশিত হয়, এই সিঁড়িকে ভেঙে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এটি হাওয়াই দ্বীপের হনুলুলুতে অবস্থিত। এখানকার স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। যত শীঘ্রই এই সিঁড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হয়েছে?
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন মার্কিন সেনারা এই সিঁড়িটি তৈরি করেছিল গোপন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য। যদিও পরবর্তীকালে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে বর্তমানে এই সিঁড়ি পর্যটকদের কাছে অন্যতম পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে আর প্রত্যেকদিন শতাধিকেরও বেশি পর্যটক এখানে ভিড় করেন। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এটি একটি ভয়ঙ্কর পর্যটনকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোনও সময় বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে।
এই সিঁড়িতে উঠা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি কিন্তু সে কথা কেউ মানে না। ধরা পড়লে জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে পারে তবুও কারোর ভ্রুক্ষেপ নেই। স্বর্গের এই সিঁড়ির উচ্চতা ২৪৮০ ফুট উচু। এতে প্রায় একেবারে ছোট ছোট ৩৯৩৩ টি সিঁড়ির ধাপ রয়েছে। সেগুলি এতটাই ছোট ধাপ যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটে যেতে পারে।
এই সিঁড়ি দিয়ে যত উঠবেন মনে হবে মেঘের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে আর সেই কারণেই এই সিঁড়িকে ‘স্বর্গের সিঁড়ি’ বলে ব্যাখ্যা করে অনেকেই। তবে ব্যাপকভাবে কড়াকড়ি হওয়ায় একাধিক পর্যটককে গ্রেপ্তার করেছে হনলুলুর পুলিশ। তবুও অপারক প্রশাসন বিভাগ, কেউ মানছেই না তাদের কথা। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা বিপদ দেখেও এই সিঁড়িতে চড়ছেন। তাই বিপদ এড়াতেই এই সিঁড়িটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।