Cricket
বিশ্বের পাঁচ স্বার্থপর ক্রিকেটার, যারা নিজের স্বার্থের জন্য খেলতেন
বর্তমানে ক্রিকেট অতি জনপ্রিয় খেলা এবং এটি ভদ্রলোকের খেলা। তবে ক্রিকেট ইতিহাসে কয়েকজন খেলোয়ারদের অভদ্রতার পরিচয় পাওয়া গেছে। যে কাজের জন্য তাদের স্বার্থপর বলা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের জন্য তাদের তাদের স্বার্থপর ক্রিকেটার বলা হয়েছে।
১) জিওফ্রে বয়কট:
ইংল্যান্ডের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার বরাবরই স্বার্থপরতার পরিচয় দিয়েছেন। জানা গিয়েছে তিনি ব্যাটিং করার সময় মাঝেমধ্যে এতটাই ধীরগতিতে খেলতেন তার দলের ক্রিকেটাররাই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতেন। সেঞ্চুরি মুখে এসে তিনি রান করার কোনো চেষ্টাই করতেন না। তার ধীর গতিতে ব্যাটিং এর জন্য অনেক জেতা ম্যাচ ইংল্যান্ড হেরে গেছে বা ড্র হয়। এমনকি, তিনি একবার ২৬৪ রান করার পরেও দল থেকে বাদ পড়ে যান।
২) শাহিদ আফ্রিদি:
শাহিদ আফ্রিদির বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে কিন্তু স্বার্থ নিয়ে চলা তার একটি অভ্যাসে পরিণত হয়। তিনি বেশ কয়েকবার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন আবার ফিরেও এসেছেন এর কারণ ছিল আত্মসম্মানবোধ, যে কারণে অন্যান্য খেলোয়াড়দের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তেন। এ কারণেই অনেক পাকিস্তানি খেলোয়াড়ই তাকে স্বার্থপর বলত।
৩) রিচার্ড হ্যাডলি:
নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট দখল করেছেন রিচার্ড হ্যাডলি, কিন্তু তার সাথে দলের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিলনা। তিনি সব সময় অন্যদের ছোট বলে মনে করতেন এবং যে কোন প্রসঙ্গ এলেই তুলনা দিতেন। এমনকি কখনও কখনও পুরস্কারের মূল্য তার সতীর্থদের সাথে ভাগাভাগি করতেন না।
৪) শিবনারায়ণ চন্দ্রপল:
শিবনারায়ন চন্দ্রপাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে প্রচুর সুনাম অর্জন করেছেন কিন্তু আবার তার চরিত্রে স্বার্থপরতার দাগও লাগে। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান যখন টেল এন্ডারদের সাথে ব্যাট করতেন তখন নিজে স্ট্রাইক নেওয়ার চেষ্টা করতেন না। কঠিন কঠিন বোলারদের মুখে ফেলে দিতেন তাদের। তার সতীর্থরা জানিয়েছে তিনি নট আউট থাকবেন বলে এই কাজটি করতেন।
৫) সুনীল গাভাস্কার:
টেস্টে সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত সুনীল গাভাস্কার। তিনি প্রথম টেস্ট ক্রিকেটে দশ হাজার রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছিল। কিন্তু মাঝেমধ্যে খুবই মন্থর গতিতে ব্যাট করতেন। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৫ রানের টার্গেট থাকা সত্ত্বেও তিনি ১৭৪ বলে ৩৬ রান করেন। যা নিয়ে এখনো মাঝেমধ্যে সমালোচনা হয়।
