এক ছোবলেই ছবি! বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ৭ প্রজাতির সাপ

বিশ্বজুড়ে সাপ নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। সাপ সম্পর্কিত বিভিন্ন কুসংস্কার যা অনেকেই বিশ্বাস করে। জানিয়ে রাখি, গোটা বিশ্বে ৩,০০০-রও বেশি প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৬০০ বিষধর, তবে ২০০ প্রজাতি সাপের কামড়ে মানুষ মারা যেতে পারে। এরই মধ্যে এমন কয়েকটি প্রজাতির বিষধর সাপ রয়েছে যাদের দংশনে মানুষকে বাঁচানোর প্রায় অসম্ভব। এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:  

বেলচারস সি স্নেক: 

Image

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় সমুদ্রে বেলচারস সি স্নেক নামক সাপটি পাওয়া যায়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপেদের মধ্যে একটি। এর বিষের মাত্র কয়েক মিলিগ্রাম ফোঁটা ১০০০ মানুষকে হত্যা করতে পারে। এই সাপগুলি গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়, তাই বেশিরভাগ জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে এদের কামড়ে মারা যায়।

ইনল্যান্ড তাইপান:

Image

এই সাপটি স্থলভূমিতে পাওয়া সাপেদের মধ্যে সবচেয়ে বিষাক্ত। এদের একবার দংশনে মানব শরীরের প্রায় ১০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ ছড়িয়ে যায়। ওই পরিমাণ বিষ প্রায় ১০০ জন মানুষকে হত্যা করতে পারে। অন্যান্য বিষধর সাপের চাইতেও এদের বিষ ১০ গুণ বেশি এবং কোবরার থেকে ৫০ গুণ বেশি বিপজ্জনক।

ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক:

Image

অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া এই সাপটি অত্যন্ত বিষাক্ত। এদের বিষের ১৪,০০০ ভাগের একটি অংশ একটি মানুষকে হত্যা করতে পারে। এদের গতি খুবই দ্রুত তাই তাড়া করে কামড়ায়।

র‌্যাটল স্নেক:

Image

এটি উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ। এই সাপটির লেজের শেষে একটি ঝুমঝুমি রয়েছে, যার শব্দে অন্যান্য প্রাণীরা আকর্ষিত হয় এবং তাদের কাছে এসে দংশিত হয়ে প্রাণ ত্যাগ করে।

রাসেল ভাইপার:

Image

চন্দ্রবোড়া বা রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার ও লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়।

টাইগার স্নেক:

Image

এই সাপটি অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। টাইগার স্নেকের বিষে খুব শক্তিশালী নিউরোটক্সিন রয়েছে। এদের কামড়ানোর ৩০ মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একজন মানুষ মারা যায়।

ব্ল্যাক মাম্বা:

Image

এটি আফ্রিকার সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ভয়ংকর সাপ। এদের মুখের ভেতরটা গাঢ় কালো রংয়ের। ব্ল্যাক মাম্বা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম সাপ রূপে চিহ্নিত – যা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে শিকারকে ধরতে পারে। এরা রেগে গেলে টানা ১০-১২ বার দংশন করে এবং মানবদেহে ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত বিষ ছড়িয়ে দেয়। ব্ল্যাক মাম্বার মাত্র ১ মিলিগ্রাম বিষ একজন মানুষকে মারার জন্য যথেষ্ট।