ক্রিকেটের মাঠে দীর্ঘ সময় ধরে কাটানোর পর খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রায়ই গভীর বন্ধুত্ব দেখা যায়। এমনকি বিপক্ষ দলের খেলোয়ারদের মাঝেও বন্ধুত্বের পরিচয় পাওয়া গেছে, যে কারণে ক্রিকেটকে ভদ্রলোকের খেলা বলা হয়। তবে ভারতীয় ক্রিকেটের কথা বললে গভীর বন্ধুত্বের পরেও চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছিল কয়েকজন ক্রিকেটার।
আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেটের তিন বন্ধুত্বের গল্প যা পরবর্তীকালে শত্রুতে পরিণত হয়েছিল! চলুন তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
মুরলী বিজয় ও দীনেশ কার্তিক:
তামিলনাড়ুর হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন দীনেশ কার্তিক ও মুরলী বিজয়। যার ফলে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। এরপরে দীনেশ কার্তিক তার স্ত্রীর সাথে বিজয়ের পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে এই সম্পর্ক কেবল আইপিএল পর্যন্ত টিকে ছিল।
এর কিছুদিনের মধ্যেই কার্তিকের স্ত্রীর সাথে বিজয়ের সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে। কার্তিক জানতে পেরে অত্যন্ত ব্যথিত হন ও তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদের সাথে সাথে মুরলী বিজয় নিকিতাকে বিয়ে করেন। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক শত্রুতে পরিণত হয়েছিল এবং আজও তারা একে অপরের মুখ দেখতে পছন্দ করে না।
যুবরাজ সিং ও মহেন্দ্র সিং ধোনি:
যুবরাজ সিং ও মহেন্দ্র সিং ধোনির মধ্যে যে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল তা কারোরই অজানা নয়। একসাথে দুজনে মিডল অর্ডারে জুটি বেঁধে ভারতীয় দলকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন। ২০১১ বিশ্বকাপ অবধি এই সম্পর্ক টিকে ছিল কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে তাদের সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়।
সেই সময় দলের অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং যুবরাজকে দলের বাইরে রেখেছিলেন। ধীরে ধীরে এই সম্পর্কে ফাটল ধরে, যা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলিতে খুবই চর্চা হয়েছিল। মাঝেমধ্যেই যুবরাজ সিংহের বাবা ধোনিকে নিয়ে তীব্র নিন্দা করেন। এমনকি আজকাল একে অপরের জন্মদিনে উইশ করতেও দেখা যায় না।
গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি:
বিরাট কোহলি যেদিন প্রথম ওডিআই সেঞ্চুরি করেছিলেন সেই মুহূর্তটিকে কারোর ভোলার নয়। ওই ম্যাচে গৌতম গম্ভীরও সেঞ্চুরি করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হলে সেই পুরস্কারটি বিরাট কোহলির হাতে তুলে দেন। তবে এদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব সম্পর্ক না হলেও একে অপরের প্রতি খুবই শ্রদ্ধা ছিল।
কিন্তু একটি আইপিএল ম্যাচ চলাকালীন দুই খেলোয়াড়ই তুমুল উত্তেজনার মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আসলে ওই ম্যাচে বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর যখন গালাগালি করছিলেন তখন গম্ভীর তার অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এই ঘটনার পরে দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে আর কখনও সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি।