Science & Technology
সবচাইতে তীব্র রেডিওশন ছড়ানো স্মার্টফোনের তালিকা প্রকাশ করলো জার্মান সংস্থা
স্মার্টফোন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে এটি ছাড়া এক মুহূর্ত আমরা কেউ থাকতে পারিনা। তবে জার্মানির গবেষকরা দেখেছেন যে এটি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল না। এর মধ্যে কয়েকটি স্মার্টফোনের তেজস্ক্রিয়তা সবচাইতে বেশি যেগুলি ব্যবহার করলে শারীরিকভাবে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। সতর্কবার্তা দিতে গবেষকগণ, কয়েকটি স্মার্টফোনের তালিকা প্রকাশ করেছে যেগুলির রেডিয়েশনের মাত্রা সবার চাইতে বেশি।
বৈজ্ঞানিক জানিয়েছেন স্মার্টফোনের রেডিয়েশন থেকে বহু জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত, সেই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতেই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আপনিও যদি সেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন যেগুলির রেডিয়েশনের মাত্রা খুবই বেশি তাহলে অবশ্যই সাবধান হন।
সম্প্রতি যে তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে সবার উপরে রয়েছে শাওমির স্মার্ট ফোনের Mi A1, এটি ২০১৭ সালে ভারতের মার্কেটে বহুলভাবে ছেয়ে গিয়েছিল। এই স্মার্টফোনটি প্রচুর বিক্রি হয়েছিল এখনও বহু মানুষ এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করছেন। মাঝারি অল্প দামের এই মোবাইলটিতে উন্নত মানের স্পেসিফিকেশন থাকায়। জানা গিয়েছে এই মোবাইলটি প্রতিকেজিতে ১.৭৫ ওয়াট রেডিয়েশন বিকিরণ করছে।
দুই নম্বরে রয়েছে One plus 5t, যার প্রতিকেজিতে ১.৬৮ ওয়াট রেডিয়েশন ছড়াচ্ছে। এরপর শাওমি কোম্পানির MI Max 3, যার রেডিয়েশনের মাত্রা প্রতি কেজিতে ১.৫৮ ওয়াট। এরপরের যেসকল স্মার্টফোন গুলির তালিকা রয়েছে তা হলো এইচ টি সি, গুগল, অ্যাপেল এবং সোনির মতো বিভিন্ন নামিদামি স্মার্টফোন।
এই তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে জার্মানের একটি গবেষণাগার থেকে। এখন এরমধ্যে আপনি কোন ফোনটি ব্যবহার করেন? যদি আপনি এর মধ্যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন তাহলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই আপনাকে কয়েকটি দিকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। এই ধরনের স্মার্টফোন গুলি দিয়ে কখনই দীর্ঘক্ষন কানে লাগিয়ে কথা বলবেন না। যদি কথা বলতে হয় তাহলে ভয়েস চ্যাট কিংবা টেক্সট করুন।
এছাড়াও জানা গিয়েছে কল করার সাথে সাথেই কানে মোবাইল দেবেন না যতক্ষন না সেই ব্যক্তি ফোনটি রিসিভ করছেন। সব থেকে ভাল হয় আপনি হেডফোন ইউজ করুন। আরেকটা দিক মনে রাখতে হবে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে সেখানে কখনোই ফোন কানে লাগাবেন না।
