Cricket
বিশ্বের ১০ ক্রিকেটার যারা দুটি দেশের হয়ে খেলেছেন, তালিকায় ৪ ভারতীয়
দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলা প্রতিটা ক্রিকেটের ঠিক যেন স্বপ্ন পূরণের মত। তবে বিশ্বে এমন কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে যারা দুই দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন, এটা শুনে অবাক লাগতে পারে। কিন্তু এটা সম্ভব অর্থাৎ সেই দেশের নাগরিত্ব গ্রহণ করার পরে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ১০ জন ক্রিকেটার সম্পর্কে-
১) লুক রঞ্চি: ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন লুক রঞ্চি। এরপরে ২০১৫ সালে তিনি নিউজিল্যান্ড দলের খেলা শুরু করেন এই উইকেট-রক্ষক তথা মারকুটে ব্যাটসম্যান। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন।
২) কোরি অ্যান্ডারসন: সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন জাতীয় দলে আর সুযোগ না পাওয়ায় অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে টি-টোয়েন্টি লিগে ৩ বছর খেলবেন। প্রসঙ্গত, কোরি অ্যান্ডারসন ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম (৩৬ বলে) শতরানের মালিক। এছাড়া ২০১৫ বিশ্বকাপে রানার্স দলের (নিউজিল্যান্ড) সদস্য ছিলেন তিনি।
৩) এড জয়েস: এড জয়েস ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড উভয়ের হয়ে খেলেছেন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে তিনি ইংল্যান্ডের দলের অংশ ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন।
৪) ইফতেখার পাতৌদি: নবাব ইফতার পাতৌদি ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মনসুর আলী খান পাতৌদির পিতা। ইংল্যান্ড দল ত্যাগ করে ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতে আসেন এবং সেই বছরই তাদের বিপক্ষে ভারতীয় অধিনায়ক হন।
৫) আবদুল হাফিজ করদার: আবদুল হাফিজ করদার একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যিনি ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েরই প্রতিনিধিত্বকারী তিন ক্রিকেটারের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন।
৬) আমির এলাহী: দেশ বিভক্ত হওয়ার পরে অবধি আমির ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন। এর পরে তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন এবং ১৯৫২-৫৩ সালে তিনি পাক দলের হয়ে খেলেন।
৭) গুল মোহাম্মদ: গুল মোহাম্মদ হলেন তৃতীয় ক্রিকেটার যিনি ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশের হয়ে খেলেছেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন। যার পরে তিনি পাক দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।
৮) কেপলার ওয়েলস: দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়েলস ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেন। এরপর ১৯৯১ সালে বর্ণবাদ তোলার অভিযোগে আফ্রিকান নাগরিত্ব গ্রহণ করে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেন।
৯) ইয়ন মর্গান: এড জয়েসের ঠিক উল্টো ইয়ন মরগান, ২০০৭ বিশ্বকাপে আইরিশ দলের অংশ ছিলেন, ২০১১ সালে তিনি ইংল্যান্ড দলে যুক্ত হন। ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি ইংলিশ দলের অধিনায়ক হন এবং ২০১৯ সালে তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জয়লাভ করে।
১০) ডার্ক ন্যান্স: অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ডর্ক ন্যানস ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ান দলের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এর আগে তিনি নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলেছেন।
