Animal Bite: কুকুর, সাপ বা বিছা কামড়ালে হাসপাতালে যাওয়ার আগে কি কি করবেন

ভারতবর্ষে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে কুকুরে কামড়ায়। এদিকে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার, প্রতিদিন ১৩০ জনের মৃত্যু হচ্ছে সাপের কামড়ে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরার কারণ হলো সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা। যেহেতু ভারতবর্ষ একটি জনবহুল দেশ তাই আরো বেশি সচেতন হওয়ার প্রয়োজন।

কুকুর, সাপ বা বিছা কামড়ালে হাসপাতালে তো নিয়ে যাবেনই কিন্তু এসব ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হাসপাতালে প্রায় বিনা খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। তাই সরকারও সচেতনতা গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এবার জেনে নেওয়া যাক কোন প্রাণী কামড়ালে কি করা উচিত—

□ কুকুর কামড়ালে: কাউকে যদি কুকুরে কামড়ায় তাহলে কয়েক ঘন্টার মধ্যে জলাতঙ্ক বিরোধী ইনজেকশন নিতে হবে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত মানুষের ধারণা ছিল কুকুরে কামড়ালে ১৪ টি ইনজেকশন নিতে হয়। তবে এখন চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক উন্নত। কুকুর কামড়ানোর দিন থেকে শুরু করে তৃতীয়, সপ্তম, ১৪তম এবং ২৮তম দিন মিলিয়ে মোট পাঁচটি ডোজ নিতে হয়। কুকুরে কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতস্থান সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং ওই জায়গায় কোন বাঁধন না দেওয়াই ভালো।

□ সাপে কামড়ালে: যদি কাউকে সাপে কামড়ায় তাহলে বোঝার চেষ্টা করতে হবে সাপটি বিষধর কিনা। বিষাক্ত সাপে কামড়ালে তৎক্ষণাৎ ওই জায়গা ফুলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে ক্ষতস্থান এর উপরে এবং নিচে ভালোভাবে শক্ত বেঁধে দিন যাতে বিষ গোটা সরিয়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। ওই ব্যক্তিকে গরম পানীয় খাইয়ে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সবচেয়ে কার্যকর।

□ বিছে কামড়ালে: বিছে মানে বিষাক্ত এই ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁকড়া বিছের হূল ফোটার পর যদি কারো শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়, রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যেতে থাকে বা বমি হয় তাহলে সাবধান হতে হবে। বিছে ফুল ফোটানো সঙ্গে সঙ্গে মানুষের হৃদযন্ত্র বিকল হতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আক্রান্ত ব্যক্তি। তবে বয়স কম হলে এবং তৎপরতার সঙ্গে হাসপাতলে নিয়ে গেলে বেঁচে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এই ক্ষেত্রে ‘প্রজোসিন’ জাতীয় ওষুধ ম্যাজিকের মত কাজ করে।