আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ৪৫০ জনের বেশি অধিনায়ক হয়েছেন। তবে একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির সমস্ত ট্রফিগুলি জয়লাভ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এছাড়াও রিকি পন্টিং, সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো বিখ্যাত অধিনায়কদের নেতৃত্ব দল শিখরে পৌঁছেছিল। একইভাবে কিছু অধিনায়ক ছিলেন যারা নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। এমনকি অধিনায়কত্ব পর্যন্ত হারাতে হয়েছিল তাদের। এবার দেখে নেয়া যাকঃ
১) হিথ স্ট্রিক:
জিম্বাবুয়ের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার ছিলেন হিথ স্ট্রিক, তবে তিনি খেলোয়াড়দেরকে সঠিক চালনা করতে ব্যর্থ হন। ২০০০ সাল থেকে টানা ৪ বছর অধিনায়ক ছিলেন। এই সময় তিনি ৬৮ ওয়ানডেতে ১৮টি জয় ও ৪৭টিতে পরাজয়ের মুখোমুখি হন। অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থ হলেও তিনি তার সময়ের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ছিলেন।
২) অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ:
ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ২০০৫ সালে অ্যাশেজ সিরিজে তার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এমন অসাধারন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব দেখে তার হাতে নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনি ১১ টেস্টে ২টি জয়, ২টি ড্র ও ৭টি পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
৩) ব্রায়ান লারা:
ব্রায়ান লারা বিপক্ষ দলের বোলারদের কাছে এক দুর্ভেদ্য প্রাচীরের মত ছিলেন। নিঃসন্দেহে তিনি বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান, তবে অধিনায়ক হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, ১২৫ ওয়ানডেতে ৫০% ম্যাচে ব্যর্থ, অন্যদিকে ৪৭ টেস্টে ১০টি জয় ও ২৬টি পরাজয় এবং বাকিগুলো ড্র হয়েছিল।
৪) শচীন টেন্ডুলকার:
‘মাস্টার ব্লাস্টার’ শচীন টেন্ডুলকারের অধিকাংশ ব্যাটিংয়ে রেকর্ডগুলি তার দখলে রয়েছে। তবে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেকেই সন্তুষ্ট নন। আসলে যে সময় তাঁকে নেতৃত্বভার দেওয়া হয়েছিল তিনি একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। তার নেতৃত্বে ভারতীয় দল ২৫ টেস্টে ৪টি জয় এবং ৭৫ ওয়ানডেতে মাত্র ২৩টিতে জয় পেয়েছিল। এরপর তিনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে ব্যাটিংয়ের দিকে আরও মনোযোগী হয়েছিলেন।
৫) ক্রিস গেইল:
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাদশা ক্রিস গেইল, যার নামে মোট ২২টি সেঞ্চুরি সহ ১৪ হাজারেরও বেশি রান রয়েছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেতৃত্ব গ্রহণ করে তিনিও লারার মতোই ব্যর্থ হন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, তিনি ৫৩ ওয়ানডে ম্যাচে ১৭টি জয় ও ৩০টি পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন।