বিখ্যাত এই ৪ ব্যাটসম্যানের স্বার্থপরতার জন্য তার দলকে হারতে হয়েছিল
বিশ্বের কয়েকজন বিখ্যাত ব্যাটসম্যান রয়েছে যারা তার দলকে সব সময় জয়ের দিকে নিয়ে গেছেন। তবে তাদের কয়েকটা স্বার্থপরতা ইনিংসের জন্য দলকে হারতে হয়েছিল এবং তারা সেই আলোচনায় আজও রয়েছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ইনিংস গুলি-
১) সুনীল গাভাস্কার ৩৬ রান ১৭৪ বলে: ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ চলাকালীন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৩৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট হাতে নামেন সুনীল গাভাস্কার। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ১৭৪ বল খেলে একটি মাত্র বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এটি ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম ধীরগতির ইনিংস বলে ধরা হয়। তৎকালীন এই ইনিংসের জন্য প্রচুর সমালোচনা হয়েছিল এবং আজও কখনো কখনো প্রসঙ্গ ওঠে।
২) জাক কালিস ৪৮ রান ৭৭ বলে: সাউথ আফ্রিকা কখনোই বিশ্বকাপ জয়লাভ করতে পারেনি তবে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে কিছুটা সুযোগ ছিল তাদের কাছে। অস্ট্রেলিয়া তাদের সামনে ৩৭৭ রানের টার্গেট দিলে সাউথ আফ্রিকার দুই ওপেনার ১৬০ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে।
এই ম্যাচটিটি সাউথ আফ্রিকা জয়লাভ করতে পারতো যদি জ্যাক ক্যালিস একটু আক্রমনাত্মক ব্যাট করতেন। তিনি এই ম্যাচে ৭৭ বলে ৪৮ রানের ধীর গতির একটি ইনিংস খেলেন যার ফলে তাদের হারতে হয়।
৩) ডেভিড ওয়ার্নার ১০০ রান ১৪০ বলে: সিবি সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নার ১৪০ বলে ১০০ রান করেছিলেন। এই ধীর গতির ইনিংসের কারণে অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ২৭২ রান তোলে এবং শ্রীলংকা সহজেই জয় লাভ করে।
অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের পরে নানান বিতর্ক সৃষ্টি হয় ডেভিড ওয়ার্নার এই ইনিংসটি দেশের জন্য নয়, তিনি নিজের জন্য খেলেছিলেন বলে।
৪) শচীন টেন্ডুলকার ১৯৪ নট আউট: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন শচীন টেন্ডুলকার ১৮৮ রানে ব্যাট করছিলেন। ওই ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা রাহুল দ্রাবিড়, ৮ ওভারের মধ্যে ১২ রান করে ডাবল সেঞ্চুরি করতে বলে ছিলেন।
কিন্তু শচীন মাত্র ৬ রান করতে পারে, ১৯৪* রানে যখন তিনি ব্যাট করছিলেন দ্রাবিড় ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেন। ডাবল সেঞ্চুরি না হওয়ার জন্য সচিন তেন্দুলকার এই ইনিংসের জন্য অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন।
৫) শচীন টেন্ডুলকার শততম সেঞ্চুরি: জীবনের শততম সেঞ্চুরি কেউ ভুলতে পারে? ২০১২ সালে সচিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শততম সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করেছিলেন।
এই ম্যাচে তিনি ১১৪ রান করেন ১৪৭টি বলের বিনিময়ে। ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮৯ রান তুলতে সক্ষম হয়। কিন্তু এই স্মরণীয় ম্যাচটি বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জিতে নেয়।