গোটা বিশ্বে এমন অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, যেগুলির সমাধান বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত খুঁজে পাননি। এই প্রতিবেদনে তেমনি একটি অভিশপ্ত জাহাজের কথা বলা হয়েছে। এই জাহাজটির নাম ফ্লাইং ডাচম্যান শিপ। এই জাহাজটিকে ভুতুড়ে জাহাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
জাহাজটির সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রায় ৪০০ বছর ধরে অভিশপ্ত হয়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই জাহাজটি দেখা খুবই অশুভ। কথিত আছে যদি কোন ব্যক্তি এটি সমুদ্রে দেখেন তবে তিনি এবং তার জাহাজটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি এই অভিশপ্ত জাহাজ নিয়ে বিশ্বজুড়ে বহু টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে।
অনেকেই ফ্লাইং ডাচম্যান শিপ জাহাজটি দেখেছেন বলেও দাবি করেন, তবে কতটুকু সত্য তা জানা যায়নি। কথিত আছে বিংশ শতকের বিখ্যাত লেখক নিকোলাস মনসেরেট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি প্রশান্ত মহাসাগরে দেখেছিলেন বলে দাবি করেন। এই জাহাজটি নিয়ে নানান বিশ্বাস ও প্রচলিত গল্প রয়েছে।
জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন হেনরিক ভ্যান ডি ডেকেন। তিনি ডাচম্যান নামেও পরিচিত ছিলেন। জানা যায়, ১৬৪১ সালে জাহাজের ক্যাপ্টেন তার জাহাজ নিয়ে হল্যান্ড ছেড়ে ইস্ট ইন্ডিজের দিকে রওনা দেন। যাইহোক যখন তিনি তার যাত্রীদের নিয়ে হল্যান্ডের দিকে ফিরে আসতে শুরু করেন, তখন তিনি পথে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা লক্ষ্য করেন।
শোনা যায়, জাহাজটি ফেরার পথে প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়েছিল। একে প্রতিকূল আবহাওয়া, তার উপরে উপকূলবর্তী ডুবো পাথরের ভিড়, সব মিলিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভয়ে শিউরে উঠেছিল জাহাজের নাবিকেরা। কিন্তু কিছুতেই জাহাজটি থামাতে রাজি হননি ক্যাপ্টেন। এমনকি নাবিকেরা তার বিরুদ্ধে গেলেও তাদেরকে হত্যা করে সমুদ্রে ফেলে দেন তিনি।
এই নৃশংস ঘটনার পর ওই অভিশপ্ত জাহাজটির ভাগ্যে কি ঘটেছিল সে কথা আর কেউ কখনো জানতে পারেনি। জাহাজের কোনও ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ দাবি করেন, ঈশ্বরের অভিশাপেই নাকি পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত সমুদ্রের বুকে ঘুরে বেড়াবে জাহাজটি।
