কখনও ভেবে দেখেছেন কিবোর্ডের মধ্যে অক্ষরগুলো এলোমেলো থাকে কেন

বর্তমানে কি বোর্ড মানবজীবনে এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপ হোক বা স্মার্টফোন প্রতিটি ক্ষেত্রে কিবোর্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত টাইপরাইটার যন্ত্র থেকেই কিবোর্ড ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল। জানিয়ে রাখি ১৮৬৮ সালে ক্রিস্টোফার লাথাম শোলেস প্রথম কিবোর্ড আবিষ্কার করেছিলেন।

পরবর্তী সময়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে তার যুক্ত করে অতিরিক্ত কিবোর্ড এর বদলে ল্যাপটপের স্ক্রিন বা কিবোর্ড একসঙ্গে এবং হাতের মুঠোয় স্মার্টফোনের স্ক্রিনে কিবোর্ড চলে আসে।

Image

প্রায় সব মানুষই কিবোর্ড ব্যবহার করে থাকলেও অক্ষরগুলি এলোমেলো কেন সে বিষয়ে অনেকেই অবগত নন। আসলে কিবোর্ড আবিষ্কারের সময় টাইপরাইটার ছিল একপ্রকার মেকানিক্যাল ডিভাইস। এবার সমস্ত অক্ষর পরপর থাকলে যন্ত্রর জ্যাম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কারণে অক্ষরগুলি উল্টোপাল্টা ভাবে সাজানো হয়েছিল।

সমস্ত অক্ষরগুলি পর পর থাকলে টাইপ করার গতিও কমে যাবে। আর ঠিক এই কারণেই সর্বাধিক কোয়ার্টি কিবোর্ডে অক্ষর সমূহ বর্ণমালা ক্রম অনুসারে পরপর সাজানো থাকে না।

এছাড়া লক্ষ্য করবেন কম্পিউটারের কিবোর্ড এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ‘F’ ও ‘J’ অক্ষরের নীচে থাকা দাগ। প্রাথমিকভাবে এই বিষয়টি চোখে না পড়লেও এর পিছনে নির্দিষ্টকরণ রয়েছে। আসলে যারা নিয়মিত টাইপিং এর কাজ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে সর্বদাই কম্পিউটারের পর্দায় তাকিয়েই টাইপ করতে হয়। সেই ক্ষেত্রে কিবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে অক্ষর চেনার জন্য এমন দাগ রাখা হয়।

টাইপিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী বাঁ হাতের তর্জনী থাকবে ‘F’- এর ওপর, ডান হাতের তর্জনী থাকবে ‘J’ -এর ওপর ও বুড়ো আঙুল থাকবে স্পেসবারের ওপর। এইভাবে আঙুল রেখে টাইপ করলে টাইপিংয়ের গতি বৃদ্ধি পায় ও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।