Cricket
দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলের ঘানি টেনেছেন এই ১০ ক্রিকেটার, তালিকায় দুই ভারতীয়
ক্রিকেট বিশ্বে এমন অনেক খেলোয়াড় আছে যারা প্রায়শই কোনও না কোনও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। আবার কিছু বিতর্কও রয়েছে, যার জন্য এই খেলোয়াড়দের জেলের ঘানিও টানতে হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্রিকেট বিশ্বের এমন কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছে যারা দোষী সাব্যস্ত হয়ে তাদের জেলে যেতে হয়েছিল। তালিকায় রয়েছে তিন ভারতীয়।
১) মোহাম্মদ আমির:
২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন মোহাম্মদ আমিরের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়ায় যে কারণে তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। শুধু তিনি একা নন তার সাথে ছিল আরো দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
২) বেন স্টোকস:
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজ চলাকালীন ইংল্যান্ডের সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকের বিরুদ্ধে একবার এক যুবতী শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তোলেন। যার জেরে তাকে জেলের ঘানি টানতে হয়েছিল।
৩) শ্রীসন্ত:
আইপিএল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সময় টিম ইন্ডিয়ার ফাস্ট বোলার শ্রীসন্তের নাম উঠে আসে এবং দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার লাইফটাইম ক্রিকেট ক্যারিয়ার ব্যান করে দেওয়া হয় এবং জেল হয়। যদিও এর পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল, ততদিনে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়।
৪) অমিত মিশ্র:
ভারতীয় দলের ডানহাতি লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রের বিরুদ্ধে কেটলি নিক্ষেপের অভিযোগ করেন তার এক মহিলা বন্ধু। যার কারণে তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল।
৫) নভজিৎ সিং সিধু:
নভজিৎ সিধুর বিরুদ্ধে একজনকে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। যার কারণে তিনি ১৯৮৮ সালে ৩ বছরের সাজা পেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু সময় কারাগারে থাকার পরে সিধু সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন এবং আদালত এটি মেনে নিয়ে তাকে মুক্তি দেয়।
৬) মাখায়া এনটিনি:
১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার মাখায়া এনটিনির বিরুদ্ধে ২১ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে তাকে জেল যেতে হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, আইসিসিও তাঁর উপর ৬ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
৭) সালমান বাট:
২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ম্যাচ চলাকালীন সালমানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছিল যার কারণে তাকে জেলে যেতে হয়।
৮) মোহাম্মদ আসিফ:
২০১০ সালে মহম্মদ আসিফ, সালমান বাট ও মহম্মদ আমিরের বিরুদ্ধে লর্ডসের মাঠে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলা চলাকালীন ফিক্সিং এর অভিযোগ ওঠে এবং তাদের প্রত্যেককেই জেলে যেতে হয়েছিল।
৯) বিনোদ কাম্বলি:
শচীন টেন্ডুলকারের প্রিয় বন্ধু বিনোদ কাম্বলির ক্যারিয়ারটা তার বন্ধুর মতো হয়নি। ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে তাঁর গৃহপরিচারিকার শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিনোদ কাম্বলি ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।
১০) রুবেল হোসেন :
বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে একবার এক অভিনেত্রী ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন তার সাথে সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করলে পুলিশের কাছে অভিনেত্রী নাজনিন আখতার হ্যাপি অভিযোগ দায়ের করেন। এর ফলে রুবেলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।
