মন্দিরে প্রবেশের আগে ঘন্টা বাজানো হয় কেন? শুধু ধর্মীয় নয়, রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও

Ringing of temple bells: আমাদের দেশ মানেই নানা সংস্কৃতির সংস্কৃতির মিলন। ভারতবর্ষে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার মন্দির রয়েছে রয়েছে এবং প্রতিটি ঢুকতে ঢুকতে গেলেই নজরে আসবে ঘণ্টা ঘণ্টা ঘণ্টা ঘণ্টা আর সেই ঘণ্টা বাজিয়েই প্রবেশ করতে হয় মন্দিরে মন্দিরে। এরপরেই ভগবানের পূজা ও দর্শন শুরু হয় হয়। হিন্দু ধর্মে মন্দিরের বাইরে ঘন্টা বাঁধার প্রথা বহু বহু শতাব্দী প্রাচীন প্রাচীন।

কিন্তু আপনি কি জানেন মন্দিরের প্রবেশের আগে ঘন্টা বাজানো হয় কেন? এর পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। সকাল-সন্ধ্যা মন্দিরে যখন পূজা ও আরতি হয় তখন বিশেষ তালে ও সুরে ঘন্টা বাজানো হয়। বিশ্বাস করা হয় যে ঘন্টা বাজানোর ফলে মন্দিরে, দেব বা দেবীর মূর্তির মধ্যে চেতনা জাগ্রত হয়। 

Image

পুরাণে বলা হয়েছে, মন্দিরে ঘন্টা বাজালে মানুষের বহু জন্মের পাপ বিনাশ হয়। কথিত আছে, যে সৃষ্টির সূচনাকালে যে নাদ (শব্দ) প্রতিধ্বনিত হয়েছিল, ঘন্টা বাজালে একই রকম ধ্বনিত হয়। কথিত আছে, যে পৃথিবী যখন ধ্বংসলীলায় মেতে উঠবে, সেইসময়ও বায়ুমন্ডলে ঘন্টা বাজানোর মতো শব্দ শোনা যাবে। মন্দিরে ঘন্টা বসানোর পেছনে শুধু ধর্মীয় নয়, রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মন্দিরে মন্দিরে সব ঘণ্টা লাগানো লাগানো থাকে তা ধাতু ধাতু দিয়ে তৈরি হয় না না। তাতে থাকে ক্যাডিয়াম, সিসা, তামা, দস্তা, নিকেল, ক্রোমিয়াম ও ম্যানগিনিসের ম্যানগিনিসের মতো ধাতু। সব ধাতু মিশ্রণে তৈরি ঘণ্টার আওয়াজে এক ধরণের ধরণের সাউন্ড থেরাপি থেরাপি।

ঘণ্টা বাজলে বায়ুমণ্ডলের মধ্যে একপ্রকার কম্পন তৈরী হয়। মনে করা হয় এই কম্পনের আওতায় আসা বিভিন্ন জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায় এবং পরিবেশকে বিশুদ্ধ করে তোলে এবং সাথে সাথে আশেপাশের নেতিবাচক শক্তিগুলিকেও দূরে সরিয়ে দেয়।

Image

কথিত আছে, যে যে নিয়মিত ঘন্টা বাজানো বাজানো হয় সেই স্থানের পরিবেশ সর্বদা পবিত্র ও ও থাকে এবং এটি মানুষের মানুষের জন্য দরজা খুলে খুলে দেয় দেয় দেয়।। ঘণ্টা বাজালেই, যে যে তৈরি হয় তা তা ৭ ৮ সেকেন্ড সেকেন্ড স্থায়ী স্থায়ী।। এই আওয়াজে মন শান্ত হয় এবং মনের বিভিন্ন চিন্তা দূর হয় বলেও জানা যায় যায়।