ভারতীয় মুদ্রার নাম ‘রুপি’, কিন্তু বাঙালিরা একে টাকা বলে কেন জানেন

Indian Currency: আমরা দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কিছুই ব্যবহার করি, যার কিছু কারণ অদ্ভুত লাগলেও তা হয়তো জানি না অথবা জানার চেষ্টা করি না। এর মধ্যে তা মনে হল ভারতীয় টাকা। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রার নাম রুপি হলেও আমরা বাঙালিরা টাকা বলি কেন জানেন? এবার এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

ভারতবর্ষের ঐক্য ও বৈচিত্র সম্পর্কে নানাবিধ জাতীয়তাবাদী ব্যাখ্যা রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয় সমাজে সেই সমস্ত বৈচিত্র্যগুলি লক্ষ্য করা যায়। সংস্কৃত থেকে শুরু করে ভাষা, পোষাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ সবকিছুই বৈচিত্র পরিলক্ষিত হয়। এরমধ্যে ভারতীয় মুদ্রাও বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত।  

Image

খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকেই ভারতীয় মুদ্রার ইতিহাস শুরু হয়েছিল। শের শাহ শূরীকে ভারতীয় রুপির প্রথম প্রচলনকারী বলে জানা যায়। মুঘল আমলে সর্বপ্রথম গোলাকার মুদ্রা প্রচলিত হয়। তুর্কি ভাষায় গোল টাকাকে তঙ্কা বলে। সেই তঙ্কা শব্দের অপভ্রংশে টাকা শব্দটি উৎপন্ন হয়েছে। 

আবার কেউ কেউ বলেন ‘টাকা’ শব্দটি এসেছে, সংস্কৃত শব্দ টঙ্কা থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ হলো রৌপ্যমুদ্রা বিশেষ। প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষের অঞ্চলের মানুষরা টাকা নামেই মুদ্রাকে চিনত। এরপর যখন ভারতবর্ষে বিভিন্ন অঞ্চল ভাগ হয়, তখন মুদ্রাগুলিও বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়। যেমন — পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ইত্যাদি রাজ্যে এখনো টাকা নামেই প্রচলন রয়েছে। 

Image

তথ্য অনুসন্ধানের কারনে জানিয়ে রাখি, ভারতীয় নোটের উল্টোদিকে দেশের হিন্দি ইংরেজি সহ মোট ১৭টি ভাষায় মুদ্রার নাম লেখা রয়েছে:
ইংরেজি – Rupee (রুপি)
হিন্দি – रुपया (রুপায়া)
অসমীয়া – টকা
বাংলা – টাকা
গুজরাতি – રૂપિયો (রুপিয়ো)
কন্নড় – ರೂಪಾಯಿ (রুপাই)
কাশ্মীরি – روپے (রপ্যিহ্)
কোঙ্কণী – रुपया (রুপয়া)
মালয়ালম – രൂപ (রূপা)
মারাঠি – रुपये (রুপায়ে)
নেপালি – रुपियाँ (রুপিয়াঁ)
ওড়িয়া – ଟଙ୍କା (টঙ্কা)
পাঞ্জাবি – ਰੁਪਈਆ (রুপিয়া)
সংস্কৃত – रूप्यकम् (রুপ্যকম্)
তামিল – ரூபாய் (রুবাই)
তেলুগু – రూపాయి (রুপাই)
উর্দু – روپیہ (রূপয়া)