ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল মানেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিটা ব্যাটসম্যান চান একটি স্মরণীয় ইনিংস খেলে তার দেশকে বিশ্বকাপ উপহার দিতে। তবে ক্রিকেট ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় এখনো পর্যন্ত ১২টি ফাইনাল ম্যাচে মোট ৬টি সেঞ্চুরি হয়েছে; যার মধ্যে এসেছে দু’টি ভারতের বিরুদ্ধে।
আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন যে ৬ ব্যাটসম্যান; এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
১) মাহেলা জয়াবর্ধনে: ১০৩* রান
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি এসেছিল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়াবর্ধনের ব্যাট থেকে। যে সময়ে তাঁর দল ধুঁকছিল, তিনি ব্যাট করতে নেমে ৮৮ বলে ১০৩* রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে এটি প্রথম বার হয়েছিল, যেখানে সেঞ্চুরি করার পরেও হারতে হয়েছিল সেই দলকে।
২) ক্লাইভ লয়েড: ১০২ রান
১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম সেঞ্চুরি এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি মাত্র ৮৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান এবং তার এই ইনিংসটি জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
৩) অরবিন্দ ডি সিলভা: ১০৭* রান
১৯৯৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ২৪২ রানের টার্গেট দেয়। এরপর অস্ট্রেলিয়া বোলিংয়ের সামনে অন্যান্য ব্যাটসম্যানেরা সমস্যায় পড়লেও ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ অরবিন্দ ডি সিলভা ১০৭* রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেন।
৪) ভিভ রিচার্ডস: ১৩৮* রান
১৯৭৯ বিশ্বকাপে ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভিভ রিচার্ডস ১৩৮* রানের দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এই ইনিংসটিকে ওডিআই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ইনিংস বলেও বিবেচিত হয়। এরফলে ওয়েস্টইন্ডিজ টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়।
৫) রিকি পন্টিং: ১৪০* রান
২০০৩ বিশ্বকাপে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ভারতীয় দল ফাইনালে উঠলেও, বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নকে চুরমার করে দেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ১৪০* রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ৩৬০ রানের টার্গেট দেয়। জবাবে ভারতীয় দল ব্যাট করতে নেমে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায়।
৬) অ্যাডাম গিলক্রিস্ট: ১৪৯ রান
১৯৯৬ সালের পর ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কার ফের মুখোমুখি হয়েছিল। তবে এবার মধুর বদলা নেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট! তিনি ১০৪ বলে ১৪৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংসে সাজানো ছিল ১৩টি চার ও ৮টি বিশাল ছক্কা। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া (D/L) ৫৩ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয়।