মুখের ঘা-এর ক্ষত সারিয়ে তোলার কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন প্রায় ২০০ রোগের লক্ষণ বুঝে যায় মুখগহবরের ঘা থেকে। কিছু খেতে গেলেই ব্যথা বা জ্বালা করে যা থেকে মুখের ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ জানা যায়। অনেক সময় পুঁজের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করার সময় এমন সমস্যা দেখা দেয়। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে।

Image

মুখের ঘা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন –

১) মুখের মধ্যে আঘাত লাগবে দেবেন না অর্থাৎ ব্রাশ করার সময় খুবই সতর্ক থাকতে হবে। যদি দাঁত আঁকাবাঁকা থাকে তাহলে ডেন্টিস্টের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়ে নিন।

২) এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ঘুম এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে।

মুখে ঘা হলে কী করবেন-

১) যষ্টিমধু: মুখের ঘা দূর করতে যষ্টিমধু খুবই কার্যকরী। এক চামচ যষ্টিমধু দুইকাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলি করুন। দেখবেন খুবই দ্রুত আরাম পাবেন।

২) অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে জানা যায় তাই অ্যালোভেরার রস মুখের ঘা সারিয়ে তুলতে সক্ষম, কারণ এর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান রয়েছে।

৩) নারকেল দুধ: নারকেল ও দুধ মিশিয়ে নিয়ে মুখের ঘা এর মধ্যে লাগালে এই মিশ্রণটি খুবই কার্যকরী। মধু ছাড়াও শুধু নারকেলের দুধ দিয়েও ক্ষতস্থানে প্রলেপ দিতে পারেন যা খুবই দ্রুত সারিয়ে তুলবে।

Image result for coconut milk

৪) তুলসি: মহৌষধের আরেক নাম তুলসী। এটি বিভিন্ন রোগের শরীর থেকে দূরে রাখে। মুখের ঘা এর ক্ষেত্রেও এটি খুবই কার্যকরী। কয়েকটি তুলসী পাতা জলের সাথে তিন থেকে চার বার পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৫) বরফ বা ঠাণ্ডা জল: মুখের মধ্যে ঘা এর ব্যথার পরিমাণ বেশি হলে এক টুকরো বরফ নিয়ে ওই ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন অথবা ঠান্ডা জল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। তবে লবণ জল দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে আরও সাহায্য করবে।

৬) লবঙ্গের রস: মুখের ঘায়ের ক্ষত সারাতে লবঙ্গের রস খুবই কার্যকরী। ওই ক্ষতস্থানের মধ্যে লবঙ্গের রস লাগিয়ে রাখলে খুব দ্রুত সেরে উঠবে।