অরোভিল হল তামিলনাড়ুর ভিল্লপুরম জেলায় অন্তর্গত একটি ছোট্ট শহর। পরীক্ষামূলকভাবে এই শহরটিকে গড়ে তোলা হয়েছে। অরোভিল তামিলনাড়ু ও কিছুটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির মধ্যে অবস্থিত।
এটি ভারতবর্ষের একমাত্র জায়গা যেখানে ধর্ম, অর্থনীতি ও রাজনীতির কোনো ভুমিকা নেই।
□ প্রতিষ্ঠাতা:
১৯৬৮ সালে মিরা আলফাসা নামক এক মহিলা এই শহরটি গড়ে তুলেছিলেন। তিনি ‘দ্য মাদার’ নামে পরিচিত। শ্রীঅরবিন্দের মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। এই শহরের নকশা করেন রজার অ্যাঙ্গার।
□ কেন তৈরি হয় অরোভিল?
এই শহরটি গড়ে তোলার একটাই উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মধ্যে একতা তৈরি করা। ধর্ম ও রাজনীতি ও অর্থনীতিকে সরিয়ে রেখে এমন একটি শহর তৈরি করার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছিল যেখানে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে বিশ্বের সমস্ত সৌহার্দ্য বজায় রেখে বসবাস করতে পারেন।
□ অরোভিলের মানুষ:
বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের মানুষ এখানে নির্বিশেষে বসবাস করেন। এই শহরের একটাই ধর্ম সেটি হল মানবতার। মোট ২,৪০০ জন মানুষ রয়েছেন এই শহরে থাকেন।
□ ধর্মের কোন জায়গা নেই:
এই শহরের ধর্মের কোন জায়গা নেই তবে অরোভিলের মাঝামাঝি জায়গায় একটি মাতৃমন্দির নামে মন্দির স্থাপিত হয়েছে। এখানে সকলেই আসেন ধ্যান ও যোগা করার জন্য। এই মন্দির কোন ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি।
□ রাজনীতির কোনো জায়গা নেই:
এই শহরে রাজনীতির কোনো জায়গা নেই। এখানকার মানুষেরা রাজনীতি থেকে বহু দূরে রয়েছেন। তবে এই শহরে বসবাসকারী মানুষজনদের নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি কমিটি দল। তারা যা সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই ওখানকার নিয়ম হয়।
□ অর্থ এখানে অর্থহীন:
অরোভিলের মানুষজনদের মধ্যে টাকা পয়সার কোন লেনদেন হয় না। তবে এখানকার মানুষেরা এক বিশেষ ধরনের কার্ড ব্যবহার করেন, যার নাম ‘অরোকার্ড’। শহরের বাইরে লেনদেন এর জন্য একমাত্র টাকা-পয়সার ব্যবহার হয়ে থাকে।