রাজু শ্রীবাস্তব ৪৩ দিন ধরে কোন রোগের সাথে লড়াই করছিলেন, জেনে নিন এর লক্ষণগুলি

বিখ্যাত কমেডিয়ান ও অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব আমাদের মাঝে আর নেই। গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। গত ১১ই আগস্ট জিমে শরীরচর্চা করাকালীন তার হার্ট অ্যাটাক হয় এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ৪৩ দিন পর রাজু শ্রীবাস্তব তার জীবন যুদ্ধে হেরে যান। এখন প্রশ্ন হল তিনি ফিট ও সুস্থ থাকার পরেও মানুষের হার্ট অ্যাটাক কেন হয়? এর কারণ কি এবং কিভাবে এড়ানো যায়। এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক—

হার্ট অ্যাটাক তখনই হয় যখন ধমনীতে ব্লকেজ ধরা পড়ে এবং রক্ত জমাট বেঁধে হার্টের পেশিতে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই ব্লকেজটি মূলত করোনারি ধমনীতে প্লাক জমার কারণে হয়ে থাকে। এর ফলে শিরাগুলি সংকুচিত হয় এবং রক্ত সঞ্চালন আরও কঠিন হয়ে পড়ে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়।

Image

হার্ট অ্যাটাকের পর অভিনেতা শ্রীবাস্তবের মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে তাকে আইসিইউ ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন মস্তিষ্কের কোষগুলি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, সেইক্ষেত্রে মস্তিষ্কে অক্সিজেনও ঠিকমতো সরবরাহ করতে পারে না। এই অবস্থায় ব্রেন ডেড বলে ঘোষণা করা হয়।

□ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ: ১) বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক বুকের মাঝখান বা বাম দিকে অস্বস্তি বা ব্যথা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে যেতে পারে।

২) অস্থিরতা, বুকে ব্যথা, ক্লান্তি, অনিয়মিত স্পন্দন শ্বাস নিতে অসুবিধা, পা বা গোড়ালি ফুলে যাওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে।

৩) শরীর থেকে ঠান্ডা ঘাম নির্গত হওয়া, মুখের চোয়াল, ঘাড় বা পিঠে অস্বস্তি বা ব্যথা হওয়া, উভয় বাহু কিংবা কাঁধে ব্যথা বা অস্বস্তি হওয়া। ইত্যাদি লক্ষণ গুলি হার্ট অ্যাটাকের পূর্ববর্তী লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।

□ কিভাবে হার্ট সুস্থ রাখবেন: ১) প্রথমত হার্ট অ্যাটাক এড়াতে হলে সম্পূর্ণ মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে।

২) পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন আর অন্যদিকে তেল, মশালা এবং জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। 

৩) নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন এবং খুব বেশি ভারী জিনিস উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকুন, এতে আপনার হার্টবিটকে প্রভাবিত করে।

৪) ধূমপান, অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় কোনও দ্রব্য সেবন না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

৫) আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন এবং কোন সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।