রাশি সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে অনেক নতুন কিছু জানার থাকে। প্রেম, বন্ধুত্ব, ভবিষ্যৎ জীবন ও শত্রুতা সম্পর্কেও জানা যায়। প্রত্যেক রাশিরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। এরকমই কিছু রাশি আছে যাদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো থাকে আবার এমন কিছু রাশি আছে যাদের মধ্যে সবসময় শত্রুতা থাকে। যেমন-
মেষ ও মেষ: মেষ রাশির ব্যক্তি অন্য মেষ রাশির ব্যক্তির সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না। এরা একসাথে হলে বেশিরভাগ সময় ঝামেলা শুরু করে দেয়। কোনো বিষয়ে ভুল হয়ে গেলে এক মেষ রাশির ব্যক্তি আরেক মেষ রাশির ব্যক্তির সেই ভুল সংশোধন না করে বারবার ওই বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকে।
বৃষ ও সিংহ: বৃষ রাশি ও সিংহ রাশির জাতক জাতিকারা অধিকাংশ সময়ই তর্ক করতে থাকে। আর কোনো বিষয়েই এরা সহমতে আসতে পারে না। অধিকাংশ সময়ই এদেরকে একে অপরের শত্রুতে পরিণত হতে দেখা যায়।
মেষ ও তুলা: সাধারণত তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা মুক্তমনা ও স্বপ্নে বিভোর ব্যক্তিত্বের হয়ে থাকে। তবে এদের আদর্শবাদী চরিত্রের জন্য সবার সাথে এরা মিশতে পারে না, বিশেষ করে মেষ রাশির ব্যক্তিদের সাথে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, তুলা ও মেষ এই দুই রাশির ব্যক্তিদের মধ্যে বন্ধুত্ব হওয়া খুবই দুষ্কর। কারণ এদের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিও সম্পূর্ণ ভিন্ন।
মিথুন ও মিথুন: জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, মিথুন রাশিই মিথুন রাশির শত্রু। একজন মিথুন রাশির বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তি আরেকজন মিথুন রাশির ব্যক্তিকে পছন্দ করতে পারে না। এরা খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও একে অপরের সঙ্গ দিতে পছন্দ করেনা।
কর্কট ও মীন: কর্কট ও মীন রাশির ব্যক্তিরা একে অপরকে একদমই সহ্য করতে পারে না। কর্কট ও মীন এই দুই রাশির ব্যক্তিরা সাধারণত খুবই স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। আর এই কারনেই এরা একে অপরকে পছন্দ করতে পারে না।
বৃ্শ্চিক ও কুম্ভ: বৃশ্চিক রাশির বৈশিষ্ট্য কুম্ভ রাশির বৈশিষ্ট্য থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বৃশ্চিক রাশির ব্যক্তিরা খুব প্রগাঢ় স্বভাবের হয়ে থাকে ও এরা সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। অপরদিকে কুম্ভ রাশির ব্যক্তিরা খুবই আরামপ্রিয় হয়ে থাকে। বৃশ্চিক রাশির শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব কুম্ভ রাশিকে সহজেই দমন করে দিতে পারে। আর এই কারণেই এরা শত্রুতে পরিণত হয়ে পরে।