Cricket
দেশের ক্রিকেট বোর্ড শত্রু হয়ে উঠেছিল যে পাঁচ ক্রিকেটারের, তালিকায় এক ভারতীয়
সমস্ত দেশের নিজস্ব ক্রিকেট বোর্ড রয়েছে, যার ফলে খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। তবে ক্রিকেটার যতই ভালো পারফরম্যান্স করুক না কেন সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকা একান্ত জরুরী, এর ফলে সে তার ক্যারিয়ারকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
তবে ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে ক্রিকেটে এমন কয়েকজন কিংবদন্তি খেলোয়াড় ছিলেন, যাদের সাথে সেই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মনোমালিন্য হওয়ার জন্য সম্পর্ক পুরোপুরি নষ্ট হয় এবং তাকে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়। চলুন সেই পাঁচ তারকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
১) শোয়েব আখতার:
পাকিস্তান বরাবরই বিশ্ব ক্রিকেটে ফাস্ট বোলারদের নিয়ে আধিপত্য বজায় রেখেছে। এরমধ্যে অন্যতম কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার, যার দ্রুতগতির বোলিংয়ের রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড এর কাছে তিনি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি এবং এই নিয়ে মাঝেমধ্যেই তুমুল ঝামেলা হয়। পিসিবি কখনোই আখতারকে সমর্থন করেনি। তাই সে পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ডকে তার প্রধান শত্রু হিসেবে আজও দেখে।
২) কেভিন পিটারসেন:
ইংল্যান্ডকে ক্রিকেট খেলার জনক বলা হয় এবং এই দলটি এমন অনেক দুর্দান্ত ক্রিকেটারদের উপহার দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কেভিন পিটারসেন। তিনি প্রতিটি ফর্ম্যাটে তার দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। এই ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের হয়ে দুর্দান্ত অবদান রেখেছেন তবে তিনি কখনও বোর্ডের সমর্থন পাননি। কেভিন পিটারসেন তার ক্যারিয়ার নষ্ট হওয়ার পিছনে এখনো ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকেই দায়ী করেন।
৩) ডোয়েন ব্র্যাভো:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় এবং বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক কখনোই ভাল ছিলনা। প্রথম থেকেই তাদের মধ্যে গন্ডগোল লেগেই রয়েছে। এর মধ্যে যে নামটি সবার প্রথমে আছে তিনি হলেন অলরাউন্ডার ডোয়েন ব্র্যাভো। তিন শ্রেণীর ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা এই তারকাকে সারা বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে দেখা গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড তাকে উপেক্ষা করে গেছে।
৪) উসমান খাওয়াজা:
রিকি পন্টিংয়ের অবসরের পর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে উসমান খাওয়াজার নাম বিবেচিত হয়েছিল তার পারফরমেন্সের ওপর বিচার করে। তিনি জাতীয় দলের হয়ে ১০ বছরে মাত্র ৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন। বেশিভাগ সময় তাকে মাঠের বাইরে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে। দলের হয়ে খেলার তিনি এখনো কোনো সমর্থন পাচ্ছেন না।
৫) আম্বাতি রাইডু:
ভারতীয় দলে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে উঠে এসে বিখ্যাত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম আম্বাতি রাইডু। তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে ছাপ রেখেছেন কিন্তু জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হতে পারেননি। ২০১৮ সালের দুরন্ত পারফরম্যান্সের সাথে জাতীয় দলে ফিরলেও পরের বছর বিশ্বকাপের জন্য তার দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয় বিসিসিআই। এর পরেই তিনি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন।
