‘শতাব্দি, দুরন্ত, রাজধানী’…! জানেন ভারতীয় রেলের এসব নামকরণ কীভাবে হয়েছে

Indian Railways: ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। কম খরচে এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে সাধারণত মানুষ ট্রেনকে বেছে নেন। এর চেয়ে ভালো পরিষেবা আর অন্য কোনও যানবাহন দিতে পারে না। এদেশে ধীরে ধীরে রেল পরিষেবার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তবে রেলের পক্ষ থেকে যাত্রীদের অনেক সুবিধাও দেওয়া হয়। কিন্তু কখনো ভেবেছেন যে বিভিন্ন ট্রেনের নাম – শতাব্দী, দুরন্ত বা রাজধানী এগুলি কিভাবে দেওয়া হল? 

ট্রেনে ভ্রমণ করা যেমন আরামদায়ক, তেমনি খরচের দিক দিয়েও সাশ্রয়। তবে ভারতীয় রেল সম্পর্কিত এমন অনেক অজানা তথ্য রয়েছে, যা অধিকাংশ মানুষই জানেন না। আমরা সকলেই ট্রেনে চড়ি। এমনকি আপনিও হয়ত শতাব্দী, রাজধানী বা দুরন্তর মত ট্রেনগুলিতে যাত্রা করেছেন। কিন্তু এসব ট্রেনের নাম কিভাবে দেওয়া হলো, তা বেশিরভাগ মানুষই জানেন না।  

Image

রাজধানী এক্সপ্রেসের নাম থেকে বোঝা যায় যে, এই ট্রেনটি দিল্লি (দেশের রাজধানী) এবং অন্যান্য রাজ্যের রাজধানীর মধ্যে চলাচল করে। সেই কারণেই এর নামকরণ করা হয়েছে রাজধানী এক্সপ্রেস। এটি দেশের পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে একটি। ভারতীয় রেলের অন্যতম স্তম্ভ রাজধানী এক্সপ্রেস।

Image

শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ১০০তম জন্মদিনে চালু করা হয়েছিল। এটি একটি চেয়ার কার ট্রেন। এই ট্রেনটি শুধুমাত্র ৪০০ থেকে ৮০০ কিলোমিটারের মধ্যে চালানো হয়। জহরলাল নেহেরুর জন্ম শতবর্ষে এই ট্রেন পরিষেবা চালু হয় বলেই নাম রাখা হয়েছে শতাব্দী এক্সপ্রেস।

Image

দুরন্ত এক্সপ্রেস এই কথাটির বাংলার অর্থ হল নির্বিচ্ছিন্ন। এর থেকে বোঝা যায় যে ট্রেনটি খুবই কম স্টেশনে থামে এবং দ্রুত গতিতে ছুটে চলে। সেই কারণেই এই ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছে দুরন্ত এক্সপ্রেস। জানিয়ে রাখি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই ট্রেনটির চালু হয়েছিল।