সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর উদারতার দিক থেকে ভালো মনের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রায় ২৪ বছর আগে তিনি এক কন্যাশিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন যাকে পেয়েছিলেন আস্তাকুঁড় থেকে। নিজের সন্তানদের মতই লালন-পালন করে বড় করে তোলেন, এমনকি নামও দেন তার পদবী অনুসারে। এটা কোনও সিনেমার ঘটনা নয়!
খবর সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৪ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের একটি ডাস্টবিনে পড়ে থাকা ওই শিশু কন্যাটি অবিরত কাঁদছিল। সেই খবর পেয়ে এনজিওর একটি সংস্থা তাকে উদ্ধারের কাজে লেগে পড়ে। এই খবর জানার পরই মিঠুন চক্রবর্তী ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
মেয়েটিকে দেখে মিঠুনের খুব মায়া হয় এবং তখনই তাকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, যা দেখে সবাই খুশি হয়েছিল। এরপর সেই শিশুকন্যাটিকে বাড়িতে আনলে তার স্ত্রী যোগিতাও খুশি হন এবং সেও তাদেরই সন্তানের মত মানুষ হতে থাকে।
বাড়িতে এই নতুন শিশুকন্যাটি আসার পর সকলে খুশিতে আত্মহারা ওঠে এবং মিঠুন চক্রবর্তী রাতারাতি সম্পূর্ণ কাগজপত্র তৈরি করে ওই মেয়েটির নাম দেন দিশানি চক্রবর্তী। সেই থেকে পিতৃত্বের পরিচয় দিয়ে ভালোবাসা ও যত্নের সাথে লালন পালন করে আসছেন।
মিঠুনের পরিবারে ছিল আরও তিন সন্তান – মিমো, উস্মে এবং নানশি। তবে তারা কখনোই দিশানিকে আলাদা চোখে দেখেনি। তার সমস্ত শখ-আহ্লাদ পূরণ করেছে। দিশানি নিউ ইয়র্কে পড়াশোনা শেষ করার পর মুম্বাইয়ের বিটাউনে অভিনয় জগতে পা রাখবেন বলে জানা গেছে। তার স্বপ্নের নায়ক সালমান খান।
জীবনে বহুবার সমাজ কল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। কিন্তু সেই সব কাজের জন্য কখনোই তিনি প্রচারের আলোয় আসতে চাননি। বরং একবার চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে তার নাম জড়িয়ে যাওয়াই সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে অভিনেতাকে। এখনো সেই কলঙ্ক বহন করে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী।