টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধোনির নাম ভারতীয় দলের মেন্টর হিসেবে ঘোষণা করার পরই চতুর্দিকে দেখা গেল আবেগের বন্যা বইছে। টুইটারে মুহূর্তেই ট্রেন্ডিং হয়ে গেলেন তিনি। ক্রিকেট সমর্থকরা আত্মহারা হয়ে লিখলেন, দল কেমন হলো তাতে কিছু যায় আসে না, ধোনি এসেছেন এটাই অনেক এটাই যথেষ্ট। তবে তাতে কি, ওই বছর চল্লিশের ‘ক্যাপ্টেন কুল’ একইভাবেই নীরব থাকলেন।
কেউ কেউ বললেন, বর্তমান ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর কোনো আস্থা নেই বিসিসিআই এর। তাই এখন দরকার হয়েছে ধোনিকে। তার মগজাস্ত্রকে ব্যবহার করতেই দলে আনা। নামেই ‘মেন্টর’ হচ্ছেন, আসলে তিনি দলের ‘সুপার কোচ।’ এককথায় দলের সর্বেসর্বা।
এও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রুমিংয়ের যে প্রয়োজন সেটা ধোনির চেয়ে কে ভালো বুঝবেন? কেউ কি পারেন, ম্যাচের কোন মুহূর্তে কি করা উচিত? এমনই কিছু ঘটনা, কুলদীপ যাদবের মত তারকারা আক্ষেপ করেন স্ট্যাম্পের পিছনে ধোনির না থাকাটা কতটা তফাৎ হয়ে যায়, সেটা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।
ভারতীয় দলে তার চেয়ে বড় অভিভাবক কেউ হতে পারে না। সীমিত ওভারের ক্রিকেট গুলে খেয়েছেন। দলের মানসিক শান্তি দেওয়া থেকে শুরু করে, পিচের রং দেখে স্ট্র্যাটেজি তৈরি ও পরিস্থিতি বোঝা — এসবের দায়িত্বে থাকবেন ধোনি। সব কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে তার মতামত। যে কাজটা বছর দেড়েক আগেও স্ট্যাম্পের পিছনে করতেন, এবার সেটাই করবেন ডেসিংরুমে বসে।
বিসিসিআইয়ের এমনটা ঘোষণার পর, সর্বত্রই মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় দলের পরবর্তী হেড কোচ হবেন কি না, এইনিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যেহেতু রবি শাস্তির মেয়াদ বিশ্বকাপের পরই শেষ হচ্ছে। তাই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে যেটুকু খবর রয়েছে, ধোনির এখনই কোচিংয়ে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।