Cricket
যে পাঁচটি ভুল সিদ্ধান্তের জন্য মহেন্দ্র সিং ধোনি এখনও অনুশোচনা করেন
মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দল প্রচুর সাফল্য অর্জন করে। তার নেতৃত্বেই ভারত ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়লাভ করে। এছাড়াও ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছিল। তবে এটা সত্যি যে তার অধিনায়কত্বে কয়েকটি চরম ভুল সিদ্ধান্ত দেখা গেছে, যে কারণে হয়তো তিনি এখনও দুঃখবোধ করেন। চলুন সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক :-
১) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের শেষ ওভারে বিরাট কোহলিকে বল দেওয়া:
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার ছিল। তখন বিরাট কোহলির হাতে বলটি তুলে দেন ধোনি। যেখানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো শীর্ষস্থানীয় বোলারের ২ ওভার বাকি ছিল। ধোনির এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় দলকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়।
২) যুবরাজের মত ম্যাচ উইনারকে ২০১৫ বিশ্বকাপে সুযোগ না দেওয়া:
যুবরাজ সিং ২০১১ বিশ্বকাপে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে ২০১৫ বিশ্বকাপের জন্য তাকে নির্বাচিত করা হয়নি। এটি একটি বিষয় যে, নির্বাচকরা যদি কোন প্লেয়ারকে বাদ দেয় তাহলে অধিনায়ক তার জন্য দাবি করতে পারেন। তবে যুবরাজের মত ম্যাচ উইনারের প্রতি ধোনি কোন উদারতা দেখান নি। ২০১৫ বিশ্বকাপে যুবরাজকে বাদ দেওয়া ধোনির পক্ষে খুবই একটি খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।
৩) ডাগআউট ছেড়ে মাঠে আসার সিদ্ধান্ত:
২০১৯ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যে একটি ম্যাচ চলাকালীন যখন সিএসকের জয়ের জন্য ৩ বলে ৮ রান দরকার ছিল তখন বেন স্টোকস নো বল করলে আম্পায়ারের কোনো সাড়া না পাওয়ায় মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ডাগআউট ছেড়ে সরাসরি মাঠের মধ্যে এসে আম্পায়ারদের সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু করেন। এই সিদ্ধান্ত তিনি একেবারেই খুশি হননি।
৪) রোটেশন পলিসি:
২০১২ সালে ভারতীয় দল অস্ট্রেলিয়া সফর করে যেখানে শ্রীলংকা সহ একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়। এই সময়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি রোটেশন পলিসি চালু করে। ২০১৫ বিশ্বকাপের কথা ভেবে দলের তিন সিনিয়র খেলোয়াড়ের (শচীন টেন্ডুলকার, গৌতম গম্ভীর এবং বীরেন্দ্র শেবাগ) মধ্যে মাত্র ২ জনকে একাদশে খেলান। এই নীতি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল কারণ ভারতীয় দল এই সিরিজের ফাইনালে উঠতে পারেনি। পরবর্তীকালে, গৌতম গম্ভীর এই নীতিকে তীব্র ভৎসনা জানান।
৫) চেন্নাই সুপার কিংস পোষণ:
মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন সেই সময় সিএসকে পোষণ দেখিয়েছিলেন। যেখানে অন্যান্য খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থাকা সত্বেও জাতীয় দলে জায়গা করতে পারেননি। অন্যদিকে ধোনির আইপিএল দলে (সিএসকে) যারা মাত্র একটি সিজেনে ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন তারাই জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
