১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু এখনও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে রয়ে গেছে সীমানা বিরোধ ও পারস্পরিক অবিশ্বাস। এখনও শুকায়নি ৭৫ বছর আগের দেশভাগের ক্ষত। ভারত এই বছর তার ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে চলেছে। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়। কিন্তু এই সময়ে আমাদের দেশ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান নামে আরেকটি নতুন দেশের জন্ম হয়।
অনেকে বিশ্বাস করেন যে দেশভাগের জন্য মহাত্মা গান্ধী সম্পূর্ণ দায়ী ছিলেন। আসলে মুসলমানদের সন্তুষ্ট করার জন্য জিন্নার দাবী মেনে নিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের ‘গান্ধীর হিন্দুত্ববাদ’ বইতে লেখা রয়েছে যে মহাত্মা গান্ধী ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানে স্বাধীনতার প্রথম দিনটি কাটাতে চেয়েছিলেন।
মহাত্মা গান্ধী ভারত ভাগ এবং সীমানার দৃষ্টিতে বিশ্বাস করতেন না। তার মতে, ভারতে সব ধর্মের সহবস্থান করা উচিত। তিনি ভারত ভাগকে স্বল্প মেয়াদী পাগলামি বলেও বর্ণনা করেছেন। গান্ধী তার বই হিন্দ স্বরাজে লিখেছেন, যদি একজন হিন্দু বিশ্বাস করে যে সে একই জায়গায় বাস করবে, তাহলে সে স্বপ্নে জগতে বাস করছে। হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান যারা ভারতকে বানিয়েছে, তারা সবাই স্বদেশী।
এম জে আকবরের বই অনুসারে, স্বাধীনতার পর গান্ধীজি উভয় দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। পাকিস্তানে হিন্দু এবং ভারতে মুসলমানরা সংখ্যালঘু ছিল। গান্ধী অনেক সহিংসতাপ্রবণ এলাকায় গিয়েছিলেন। বইটিতে লেখা আছে, ‘গান্ধীজী বাস করতে চেয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের নোয়াখালীতে যেখানে ১৯৪৬ সালের দাঙ্গায় হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছিল।
গান্ধীজী সেখানে যেতে চেয়েছিলেন যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। বইটিতে আরো উল্লেখ রয়েছে যে গান্ধীজী আব্দুল গাফফার খানকে বলেছিলেন যে তিনি পশ্চিম সীমান্ত পরিদর্শন করতে চান এবং পাকিস্তানে বসতি করবেন। গান্ধীজি বলেছিলেন আমি দেশভাগে বিশ্বাস করিনা, আমি কারো কাছ থেকে অনুমতি নিতে চাচ্ছি না। যদি পাকিস্থান হয় আমি সেখানে যেতে চাই এবং দেখতে চাই তারা আমার সাথে কি করে।