মহাভারত: গান্ধারী ১০০ পুত্রের জন্ম কিভাবে দিয়েছিলেন, জেনে নিন এর রহস্য

ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের গান্ধার রাজ্যের রাজা সুবলের কন্যা। ইনি পিতার নামে- সুবলকন্যা এবং তাঁর জন্মস্থান গান্ধারের নামানুসারে ইনি গান্ধারী নামে পরিচিত ছিলেন। মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষায় তাঁর মন পরিপূর্ণ ছিল। ইনি কুমারী অবস্থায় মহাদেবের কাছে শতপুত্র লাভের বর চেয়েছিলেন। 

ভীষ্ম এঁর সাথে ধৃতরাষ্ট্রের বিবাহের জন্য গান্ধাররাজের কাছে প্রস্তাব পাঠালে, গান্ধাররাজ তাঁর পুত্র শকুনি’র সাথে সালঙ্কৃতা অবস্থায় গান্ধারীকে হস্তিনাপুরীতে পাঠান এবং এখানেই তাঁর সাথে ধৃতরাষ্ট্রের বিবাহ হয়। স্বামীর অন্ধত্বের কারণে গান্ধারী চোখে সব সময় এক খণ্ড কাপড় বেঁধে রাখতেন। 

Birth of Pandavas and Kauravas is not natural? Read Complete Story

বেদব্যাস একদিন ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হয়ে হস্তিনাপুরীতে এলে, গান্ধারী যথোচিত সেবা যত্ন করে ঋষিকে তুষ্ট করেন। পরিতুষ্ট বেদব্যাস তাঁকে বর দিতে ইচ্ছা করলে, ইনি তাঁর কাছে শতপুত্র লাভের বর প্রার্থনা করে তা লাভ করেন। 

গর্ভবতী হওয়ার পর দুই বৎসরেও তাঁর সন্তান প্রসব না হওয়ায় আর এদিকে পাণ্ডুর প্রথম পুত্র যুধিষ্ঠিরের জন্ম হলে ইনি ঈর্ষায় নিজের উদরে আঘাত করতে থাকেন। ফলে ইনি একটি লৌহকঠিন মাংশপিণ্ড প্রসব করেন। ইনি ক্ষোভে দুঃখে এই মাংসপিণ্ড ফেলে দিতে উদ্যোগী হলে, ব্যাসদেব সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁকে বাধা দেন।

পরে ব্যাসবেদের পরামর্শে ইনি, শীতল জলে এই মাংস খণ্ডটি ধৌত করেন। ফলে এই মাংসখণ্ডটি একশটি ভাগে বিভক্ত হয়। এক বছর পর এই মাংস পিণ্ড থেকে প্রথমে দুর্যোধন ও এক বছর এক মাসের মধ্যে আরও ১০০টি পুত্র ও একটি কন্যার জন্ম হয়।