সম্প্রতি গুজরাটের দ্বারকাধীশ মন্দিরের উপর আচমকা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কারো তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে গেছে, যা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
বজ্রপাতের ফলে মন্দিরের চূড়ায় থাকা ৫২ গজের পতাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ইতিমধ্যেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। খবর সূত্রে জানা গেছে, মন্দিরের দেওয়ালে সামান্য অংশ কালো দাগও তৈরি হয়েছে।
খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে নির্মিত এই মন্দিরের তেমন আর কোনভাবেই ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। এর বাইরে যদি অন্য কোন স্থানে পড়তো তাহলে বড়োসড়ো ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। কেউ কেউ বলেছেন, ‘ঈশ্বর বিপদকে নিজের মস্তকে গ্রহণ করে আমাদের জীবন রক্ষা করলেন।
દ્વારિકાધીશની જય , વીજળી ભગવાન દ્વારકાધીશની બેન થાય અને આજે બેન ભાઈ નું અનોખું મિલન પણ કહી શકો તમે,
भगवान ने बड़ी विपदा अपने ध्वज पर लेली, #द्वारका में #बिजली भगवान के ध्वज दण्ड को आलिंगन करते हुए मन्दिर में विर्सजित हो गई 13/7/21
જયદ્વારકાધિસ 🌸🌻🌺🌼🚩 pic.twitter.com/ad1c0bQnCf— ✪☞︎︎︎रमेश गोस्वामी☜︎︎︎✪ (@RameshDGoswami) July 13, 2021
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, বজ্রপাতটি মন্দিরের চূড়ার পড়ার সাথে সাথে পতাকার মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় লোকেদের বিশ্বাস স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের রক্ষা করেছেন। এই মন্দিরটি গুজরাটের গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত। অনেকেই এই মন্দিরকে জগৎ মন্দির নামেও চেনেন।
द्वारका के श्री द्वारकाधीश मंदिर के झंडे पर बिजली गिरी
श्री द्वारकाधीश मंदिर को कोई नुकसान नहीं हुआ
यह भगवान श्रीकृष्ण की कृपा है pic.twitter.com/yMRTJCO2bm— हिरेन पांडे (@pandey_Hiren123) July 13, 2021
এই মন্দিরটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সমর্পিত করে। কথিত আছে , শ্রীকৃষ্ণের প্রপৌত্র বজ্রনাভ এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। হিন্দুদের কাছে চারধামের একটি হল দ্বারকা। আবার সপ্তপুরী নামেও পরিচিত। ভারতের সাতটি প্রাচীনতম শহরের অন্যতম হল দ্বারকা।
হিন্দুশাস্ত্রে দ্বারকাকে কৃষ্ণের রাজধানী বলা হয়েছে। মনে করা হয়, এটিই ছিল গুজরাতের প্রথম রাজধানী। কৃষ্ণের অপর নাম দ্বারকাধীশ বা দ্বারকেশ্বর। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ বা সপ্তম শতাব্দীতে দ্বারকাধীশ মন্দিরটি নির্মিত হয়।