জানেন কোন গ্রহকে ‘যমরাজের বাড়ি’ বলা হয়, যেখানে কারও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়

House of Yamaraj: মৃত্যুর দেবতা হলেন যমরাজ। মৃত্যুর পর মানুষের কর্ম অনুযায়ী যমরাজ তাকে শাস্তি প্রদান করে। শাস্ত্র অনুসারে তিনি ভগবান সূর্যের জ্যেষ্ঠ পুত্র। যমরাজ সম্পর্কিত অনেক কিছুই পুরানে লেখা আছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে যমরাজের বাসস্থান কোথায়? আমাদের সৌরজগতের একটি গ্রহ রয়েছে যাকে বলা হয় ‘যমরাজের বাড়ি’।

অতীতে আমাদের সৌরজগতের মোট নয়টি গ্রহ ছিল। যথাক্রমে – বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন এবং প্লুটোকেও নবম গ্রহ বিবেচনা করা হতো। কিন্তু ২০০৬ সালে প্লুটো থেকে গ্রহের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এবং এটি একটি বামন গ্রহ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই গ্রহটি কে অনেকে যমগ্রহও বলে থাকে অর্থাৎ যমরাজের বাড়ি।

Image

একসময় প্লুটোকে সৌরজগতের সব থেকে ছোট গ্রহ হিসেবে বিবেচিত করা হতো। তবে এই গ্রহটিতে কোনও প্রাণীর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আসলে নাসার মতে, এই গ্রহটির তাপমাত্রা মাইনাস ২৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি একটি বরফের বল। গ্রহটি এতটাই ঠান্ডা যে এখানে জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব।

জানা গেছে, প্লুটো গ্রহটি ১৯৩০ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল। আসলে এই সময় এক বিজ্ঞানী ক্লাইড ডব্লিউ টমবাউ এক্স নামে একটি অজানা গ্রহ খুঁজছিলেন, যা ইউরেনাস ও নেপচুনের কক্ষপথে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছিল। এখন প্রশ্ন হল গ্রহটির নাম প্লুটো হল কিভাবে? আসলে, এটি লন্ডনের অক্সফোর্ড স্কুলের অধ্যয়নরত একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর কারণে নামকরণ করা হয়েছিল। 

Image

ভেনেশিয়া বার্ন নামের ছাত্রীটি বলেছিল যে, রোমের অন্ধকারের দেবতাকে প্লুটো বলা হয় এবং এই গ্রহে সবসময় অন্ধকার থাকে, তাই এটিকে প্লুটো বলাই যুক্তিযুক্ত হবে। এর পুরস্কার হিসেবে ছাত্রীটিকে পাঁচ পাউন্ড অর্থাৎ আজকের হিসাবে ৫০০ টাকা দেয়া হয়েছিল। জানিয়ে রাখি, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে প্লুটোর সময় লাগে ২৪৮ বছর।