অনেক সময় অভিনয় চলাকালীন অভিনেতারা এতটাই গভীর হয়ে পড়েন যাকে ফিল্মের পরিভাষায় মেথড অ্যাক্টিং বলা হয়। এই ধরনের অভিনয় করার মূলমন্ত্র হলো চরিত্রের সঙ্গে একাত্মবোধ করা। সেইসাথে আনন্দের সঙ্গে নিজের ভাবনাকেও মেলানো। অ্যাকশন হিরো জন আব্রাহামও নিজের চরিত্রের সাথে অনেকটাই একাত্মবোধ করেন।
সুঠাম শরীরের জন্য পরিচিত জণ আব্রাহামের ক্যারিয়ারের শুরুতে জিসম ছবিতে বিপাশা বসুর সাথে কেমিস্ট্রি দেখে এমন অভিনেতার জন্য তার অনুরাগীরা পাগল হয়ে উঠেছিলেন। বিপাশার সাথে জনের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে মন ছুঁয়েছিল দর্শকদের। পরে আরও এক অভিনেত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের অভিনয় করতে গিয়ে একটু বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন জন।
সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে অভিনয়ের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিলেন জন আব্রাহাম এবং তার আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ‘শুট আউট এট ওয়াডালা’ ছবির শুটিং চলাকালীন এই ঘটনাটি ঘটে। এই ছবিতে বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল জনগণের মধ্যে। তার মধ্যে দুটি দৃশ্য আরও ঘনিষ্ঠ ছিল। আবেগপ্রবণ চুম্বনের দৃশ্য আরেকটি শয্যাদৃশ্য। সেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করার সময় আবেগতাড়িত হয়ে জন আব্রাহাম কঙ্গনাকে আঘাত করে ফেলেছিলেন।
অভিনেতা ও অভিনেত্রী মধ্যে যদি তেমন বোঝাপড়া না থাকে তাহলে অভিনয়ের সময় উভয় অস্বস্তিবোধ করে। যদিও জনগণের মধ্যে চুম্বন দৃশ্যের শুটিংয়ের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি কিন্তু গোলযোগ বাঁধে শয্যাদৃশ্যের অভিনয়ের সময়। ওই ছবিটিতে জনের চরিত্রে ছিল একজন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন। কঙ্গনার সাথে ওই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে জন আব্রাহাম এমন পর্যায়ে পৌঁছে ছিল যে তাকে আদর করছিল না হেনস্তা করছিল তা বোঝা যাচ্ছিল না এমনটাই দাবি করেছে এক প্রত্যক্ষদর্শী।
অভিনয়ের দৃশ্যে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি চলাকালীন জন আব্রাহাম এক পর্যায়ে কঙ্গনার হাত ধরে চেপে ধরে এবং অভিনেতার হাতের চাপে নায়িকার চুরি ভেঙে তার হাত কেটে রক্ত পড়তে শুরু করে। তবে জন দ্রুত সামলে নেন এবং কঙ্গনা কাছ থেকে তৎক্ষণাৎ ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দোষটি কারও নয়। শুটিং চলাকালীন আবেগ ও পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে ছিল যে একে অপরে একটু বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল।