রোহিতের থেকেও জাভেদ মিয়াঁদাদের ছক্কা এগিয়ে রাখব, জানালেন এক প্রাক্তন ক্রিকেটার

প্রায় তিন দশক আগে, ১৯৮৬ সালে শারজায় বলে দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাট করছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। চেতন শর্মার ফুলটস বলে সজোরে ব্যাট চালিয়ে গ্যালারি মধ্যে ফেলে দুই হাত তুলে সেলিব্রেট করতে থাকেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ঠিক একই চিত্র দেখা গেল গত ম্যাচে। শেষ বলে মাত্র ৪ রান দরকার ছিল, আর রোহিত শর্মা বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে আলিঙ্গন করেন বিরাট কোহলিকে।

Image result for rohit sharma six"

তবে এখানে জাভেদ মিয়াঁদাদ শেষ দুই বলে নিয়েছিলেন ১০ রান, আর রোহিত শর্মা জোড়া ছক্কা মেরে শেষ দুই বলে নিলেন ১২ রান। যা অনেকেই শারজার জাভেদ মিয়াঁদাদের সাথে তুলনা করে বসেছেন রোহিত শর্মার সাথে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে একেবারেই ভিন্ন মত পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক আসিফ ইকবালের। তিনি জাভেদ মিয়াঁদাদকে এগিয়ে রাখলেন এবং জানালেন কেন।

পাকিস্তানের হয়ে ৫৮ টি টেস্ট ম্যাচ খেলা আসিফ ইকবাল জানিয়েছেন যে, ‘‘ওয়ানডে ম্যাচে জাভেদ শেষ বলে ছক্কা মেরেছিল। রোহিত কিন্তু ছক্কা মারেটি টোয়েন্টিতে। দুটো দুই ফরম্যাটের খেলা। এমনকি খেলার ধরণও আলাদা। তাই দু’ জনের মধ্যে তুলনা করা একেবারেই ঠিক নয়।’’

Image result for Pakistani cricketer Asif Iqbal"

প্রায় তিন দশক আগের প্রসঙ্গে আসিফ ইকবাল বলেন, শারজায় ওই ম্যাচে ভারত ৫০ ওভারে ২৪৫ রান করে। পাকিস্তান তাড়া করতে নেমে, জাভেদ মিয়াঁদাদের ১১৬ রানের ইনিংসের জেরে পাকিস্তান জয় লাভ করে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে। এই ম্যাচটিতে ভারতকে প্রবল নাড়া দিয়েছিল এবং সেই সময় পাকিস্তানকে দেখলেই ভারত ভয় পেত। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। এখন ভারত তীরে এসে তরী ডোবার মুহূর্তেও রক্ষা করতে পারে। যেটা গত ম্যাচে ঘটলো।

এরপর আসিফ ইকবাল, দুজনের ছক্কা প্রসঙ্গে নিয়ে তুলনা করে বলেন, “আমি জাভেদ মিয়াঁদাদের ছক্কাকেই এগিয়ে রাখব কারণ সে মেরেছিল ভারতের বিরুদ্ধে। আর রোহিত শর্মা ভারতের বিরুদ্ধে মারেনি। সেই সময় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই প্রবল উত্তেজক প্রবন হতো। যেখানে চাপ সামলানো বেশি ছিল। তবে শেষ বলে ছক্কা মারা যে কোন ব্যাটসম্যানের পক্ষেই প্রবল চাপ থাকে, এটা এত সহজ নয়।”

error: Content is protected !!