Last Indian Village: উত্তরাখণ্ডের চামুলি জেলায় বদ্রিনাথ থেকে ৩ কিলোমিটার উচ্চতায় গেলেই এই গ্রামের দেখা মিলবে। গ্রামটি মানা গ্রাম নামে পরিচিত। চিন সীমান্ত সংলগ্ন এই গ্রামটি ভারতবর্ষের শেষ গ্রাম। এখানে একটি দোকান আছে যেখানে লেখা আছে ‘হিন্দুস্তান কি আখেরি দুকান’। উত্তরখণ্ডে বেড়াতে আসা লোকেরা যখনই বদ্রিনাথ ধামে যান তারা অবশ্যই মানা গ্রামে যান, কারণ এখানকার ইতিহাস খুবই আকর্ষণীয়।
মানা গ্রামটি হিমালয়ের সুন্দর পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৯,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ভারত-তিব্বত সীমান্তবর্তী এই গ্রামে রাদাম্পা জাতির মানুষ বাস করে। এখানে ৬০টি ঘর রয়েছে যা সবই কাঠের তৈরি। জানা যায়, মানা গ্রামের ইতিহাস মহাভারতের সময়ের সাথে সম্পর্কিত। কথিত আছে, পাণ্ডবরা এই গ্রামের পথ ধরেই স্বর্গে গিয়েছিলেন।
মহাভারত আমলে নির্মিত এখনো একটি সেতু বিদ্যমান রয়েছে, যা ভীম পুল নামে পরিচিত। সরস্বতী নদী বিলুপ্ত হয়ে গেলেও আজও দেখতে পাবেন এই গ্রামটিতে। এই গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি ঝর্ণা রয়েছে। কিছুদূর গেলেই অলকানন্দা নদীরতে এর জল পাওয়া যায়। এটি সরস্বতী নদীর উৎপত্তিস্থল বলে মনে করা হয়।
পৌরাণিক তথ্য অনুসারে, পাণ্ডবরা যখন এই গ্রাম হয়ে স্বর্গে যাচ্ছিলেন, তখন তারা সরস্বতী নদীর কাছে পথ চেয়েছিলেন কিন্তু সরস্বতী তাদের পথ দেননি। এরপর মহাবলী ভীম দুটি বড় পাথর তুলে নদীর উপর দিয়ে নিজের জন্য একটি পথ তৈরি করেন এবং এই সেতুটি অতিক্রম করে তিনি এগিয়ে যান। তাই এই সেতুর নাম ভীম সেতু।
এই গ্রামে ব্যাস গুহাও রয়েছে। কথিত আছে এই গুহায় বেদব্যাস মৌখিকভাবে মহাভারত বলেছিলেন এবং ভগবান গণেশ তা লিখেছিলেন। মানা গ্রাম ভেষজের জন্য খুবই বিখ্যাত। বলা হয়, এখানে পাওয়া সব ভেষজই স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী। এছাড়া এই গ্রামে যারা আসে তাদের দারিদ্র্যও দূর হয় বলে শোনা যায়।