মানুষকে সঠিক পথে চালনা করতে হিন্দু ধর্মে বেশ কয়েকটি শাস্ত্র ও পুরাণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো শিব পুরাণ। দেবাদিদেব মহাদেবের বিষয়ে জানতে পারি শিব পুরাণ থেকে। এর পাশাপাশি কয়েকটি ভুল ও সঠিক ধারণা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয় এই পুরান।
কথিত আছে মহাদেব অল্পতেই সন্তুষ্ট হন। শুধুমাত্র একটি বেলপাতা দিয়ে পুজো করলেই তুষ্ট। তবে মহাদেব অসন্তুষ্ট হলে বড় ভয়ানক আকার ধারণ করেন। জানা যায় কোন ব্যক্তি যদি মহাদেবের রোষের মুখে পড়েন তাহলে তার জীবন সর্বস্বান্ত হয়ে যায়।
☞ এবার জেনে নেওয়া যাক কোন অন্যায়গুলো করলে মহাদেব অপরাধীকে নিজের হাতে শাস্তি দেন।
১) আপনি যদি কারোর ক্ষতি না করেও সর্বদা তার ক্ষতি চিন্তা করেন তাহলে তা গুরুতর পাপ হিসেবে মনে করা হয়। এতে অত্যন্ত রুষ্ট হন স্বয়ং মহাদেব। এমনকি কারো সম্পর্কে খারাপ চিন্তা করাও পাপ। তাই কারোর ক্ষতি করার কথা মনে মনেও ভাববেন না।
২) শিব পুরাণে বলা হয়েছে কাউকে আর্থিকভাবে ঠকানো গুরুতর অপরাধ। লোভের বশে অনেকেই কাছের মানুষদেরও ঠকিয়ে দেন। এই পাপ করলে তাকে নিজের হাতে শাস্তি দিতে উদ্যত হন মহাদেব। এছাড়াও কারও সম্পদে লোভ করবেন না এতে শিবের রোষে জীবন ছারখার হয়ে যেতে পারে। নিজে সৎ পথে যে উপার্জন করছেন তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন।
৩) অন্য কারো সম্পর্ক বা বিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করলে তাকে কখনোই ক্ষমা করে না মহাদেব। তাকে মহাদেবের রোষের মুখে পড়তেই হবে।
৪) গর্ভবতী মহিলার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা অত্যন্ত পাপের কাজ বলে মনে করা হয়। এমনকি যে মহিলার মাসিক চলছে তার প্রতি খারাপ আচরণ করলে মহাদেব অত্যন্ত রুষ্ট হন।
৫) শিব পুরাণে বলা হয়েছে ভুয়ো খবর ছড়ানো সবচেয়ে বড় পাপ। এই ধরনের পাপ কখনও ক্ষমা করেনা মহাদেব। কোন মানুষ বা তার ধর্মীয় বিষয়ে গুজব ছড়ালে নিজের হাতে শাস্তি দেন দেবাদিদেব। কারণ এই ধরনের গুজব থেকে সমাজ বা কোন মানুষের বড়োসড়ো ক্ষতি হতে পারে।
৬) ধর্মীয় অনাচার করলে মহাদেবের রোষের মুখে পড়তে হয়। বলা হয়েছে, ধর্মে যা করা উচিত নয় সেই কাজ করলে তাকে কঠোর সাজা দেন মহাদেব। হিংসা ছড়ানো থেকে শুরু করে মহিলা বা শিশুদের ওপর অত্যাচার করলেও মহাদেব ভয়াবহ আকার নেয়।
৭) মহাদেবের রোষের মুখে পড়তে না চাইলে ভুলেও কাউকে কখনো অপমান করবেন না। বিশেষ করে মা-বাবা শিক্ষাগুরু বা গৃহলক্ষী কিংবা পরিবারের অন্য কোন সদস্যকে অপমান করলে মহাদেব অত্যন্ত রুষ্ট হন। এমনকি কোনও দুর্বল বা গরীব মানুষকে কখনোই অপমান করবেন না।