ক্রিকেট ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা তাই কিছু মানুষ এটিকে ধর্মের মতোই উপাসনা করে। ভারতীয় খেলোয়াড়দের এক ঝলক দেখার জন্য তারা মাঠের ভিতরে ও বাইরে জড়ো হয়। এদেশের প্রায় সব রাজ্যেই ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। কিছু রাজ্যে আবার তিন বা তারও বেশি স্টেডিয়াম রয়েছে।
তবে এমন কয়েকটি স্টেডিয়াম পরিত্যক্ত অবস্থায়, যেখানে বছরের পর বছর ধরে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি। প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
☞ এবার জেনে নেওয়া যাক, সেই তিনটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম সম্পর্কে:
১) বরকতুল্লাহ খান স্টেডিয়াম, যোধপুর:
যোধপুরের বরকতুল্লাহ খান স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচটি ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত হয় ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে। ঐ খেলায় ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ উইকেটে পরাজিত করে। রাহুল দ্রাবিড় ও যুবরাজ সিং দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। জয়পুরের সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামটি অত্যাধুনিক হওয়ার কারণে যোধপুরের এই স্টেডিয়ামটি ভুলে গেছে।
২) কিনান স্টেডিয়াম, জামশেদপুর:
২০০৬ সালে জামশেদপুরের কিনান স্টেডিয়ামে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সর্বশেষ ওডিআই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বীরেন্দ্র শেহবাগ ও মহেন্দ্র সিং ধোনি ওপেন করতে নেমেছিলেন। এই ম্যাচে ইংল্যান্ড ভারতকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে। এরপর থেকে এখানে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি। রাঁচিতে স্টেডিয়ামটি তৈরি হওয়ার পরে এই স্টেডিয়ামটিকে পুরোপুরি ভুলে গেছে।
৩) ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়াম, গোয়ালিয়র:
গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়াম ইতিহাসের পাতায় নাম করেছে। কারণ এই স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি ভারতীয় দল ১৫৩ রানে জয়লাভ করে।
এই ম্যাচের পর থেকে ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়ামে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি। এখন এই স্টেডিয়ামটির বদলে ইন্দোরে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যে কারণে এই দুর্দান্ত স্টেডিয়ামটিকে উপেক্ষা করা শুরু হয়েছে।