আটলান্টিক মহাসাগরে ত্রিভুজাকৃতি “বারমুডা ট্রাইঙ্গেল” বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি এমনই এক গোলকধাঁধা যা মানুষকে চিরকাল অবাক করে এসেছে। জাহাজ হোক কিংবা বিমান – যেই এই অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করেছে তার আর কখনো হদিস খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে একাধিক রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু জানেন কি, বিশ্বে আরও এমনি দুটো রহস্যময় স্থানের খোঁজ মিলেছে। একটি চীনের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে ‘ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল’ ও আরেকটি ভারতের ট্রায়াঙ্গেল যা ওড়িশায় অবস্থিত। কাল্পনিক রেখা দিয়ে তিনটি বিন্দুতে যোগ করলে একটি রহস্যময় ত্রিভুজ তৈরি হয়, যা ওড়িশায় খোঁজ পাওয়া গেছে।
গত ৭৪ বছরের ইতিহাসে এই ত্রিভুজ রহস্যের কোন রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। যেহেতু এই অঞ্চলটি ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনে তাই এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি সেইভাবে। পরিসংখ্যান বলছে এই অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত ১৬টি বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।
স্বাধীনতার আগেই ওড়িশার আমারদা রোডে গড়ে উঠেছিল এই ভারতীয় বিমান ঘাঁটি। কিন্তু ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা সেই ঘাঁটি এখন পরিত্যক্ত। যা ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রাসগোবিন্দপুর গ্রামের কাছে রয়েছে।
এই অঞ্চলের যে বিমান দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছিল তা বেশিরভাগই যুদ্ধবিমান ছিল। ১৯৪৪ সালে প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে। এর কয়েকদিন পর আরও একটি দুর্ঘটনা হয়। এইভাবে ওই সপ্তাহের মধ্যে মোট তিনটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
তবে প্রতিবারই যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা ছিল, বিমান গুলির মধ্যে কোন রকম যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না আর দ্বিতীয়ত আবহাওয়াও পরিষ্কার ছিল। আমারদা বিমান ঘাঁটি ঝাড়খণ্ডের ইউরেনিয়ামের খনির খুব কাছেই অবস্থিত।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যেহেতু ইউরেনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় মৌল, এর প্রভাবে আশেপাশে যে কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এই এলাকার মধ্যে ঢুকলে বিমানের র্যাডার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেই কারণেই হয়ত এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটেছে। যদিও এর প্রকৃত কারণ আজও একটি রহস্যই হয়ে রয়েছে।