নিয়মিত হাঁটাচলা করলে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। সবসময় গাড়ির ওপর নির্ভর না করে অন্তত সকাল কিংবা বিকেলে কিছুক্ষণ হেঁটে চলাফেরা করা উচিত কারণ এতে সার্বিকভাবে উন্নতি লাভ হয় যা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দৈনিক হাঁটাচলা করলে যে দশটি উপকারিতা পাওয়া যায় –
হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে:- আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল ব্যক্তিরা প্রতিদিন হাঁটাচলা করেন তাদের ক্ষেত্রে হার্টের অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে। নিয়মিত হাঁটাচলা করলে এমনকি হৃদপিন্ডের কার্যকারিতাও অনেক গুণে বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস:- সকল ব্যক্তিরা নিয়মিত হাঁটাচলা করেন তাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যায়। বিনা চিকিৎসায় শুধুমাত্র হাঁটাচলা করার জন্য ৬০% ডায়াবেটিস রোগীদের আরোগ্য লাভ হয়েছে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:- যাদের মেদ-ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে তাদের নিয়মিত হাঁটাচলা করা উচিত। এতে দেহের অনেকটা ক্যালরি পুড়ে যায় যার ফলে পেশিগুলো আরো সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এইভাবে নিয়মিত চলাফেরা করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
জয়েন্ট ব্যথা হয় না:- বৃদ্ধবয়সে শরীরের বিভিন্ন হাড়ের জয়েন্টের মধ্যে ব্যথা অনুভূত সৃষ্টি হয় তবে আপনি যদি নিয়মিত হাঁটাচলা করেন এতে আপনার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের হাড়গুলো সতেজ থাকবে।
পায়ের শক্তি বৃদ্ধি হয়:- নিয়মিত হাঁটাচলা করলে শুধুমাত্র পায়ের পেশী মজবুত হয় না, তার সাথে দেহের প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পেশী মজবুত হয়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়:- বর্তমানে আমরা প্রযুক্তি নির্ভরশীল হওয়ায় সবকিছু ইন্টারনেটের উপর ছেড়ে দিই যে কারণে আমাদের মনে রাখার কোনো প্রয়োজন পড়ে না এই ক্ষেত্রে আমাদের স্মৃতিশক্তি ক্রমশ লোপ পাচ্ছে। তাই স্মৃতিশক্তিকে প্রখর রাখতে নিয়মিত হাঁটাচলা করা উচিত।
ভিটামিন ডি:- দিনের আলোতে নিয়মিত হাঁটাচলা করলে শরীরের মধ্যে ভিটামিন ডি প্রবেশ করার অনেকটা সুযোগ পায়। ভিটামিন ডি শরীরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
শরীর ও মন সতেজ থাকে:- নিয়মিত হাঁটা চলার অভ্যাস থাকলে শরীর ও মন সতেজ থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যারা নিয়মিত হাঁটাচলা করেন তাদের মেজাজ এবং মন সবসময় ফুরফুরে এবং হাসিখুশি থাকে।