প্রত্যেক শিশুর পেটে কৃমি জন্মায়, অনেক সময় তার পিতা-মাতারা বুঝতে পারেনা। আপনার সন্তানের মাঝে মধ্যে পেট ব্যথা করে কিংবা মাথা যন্ত্রণা? অথবা ঘুমানোর পরেও এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে! এখন কিভাবে বুঝবেন আপনার সন্তানের পেটে কৃমি হয়েছে কিনা। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক শিশুদের পেটে কৃমি হলে কোন কোন উপসর্গ দেখা দেয় ও তার সমাধানের উপায়।
∆ পেটে কৃমি হওয়ার উপসর্গ
১) ঘুমার সময় মুখ থেকে অনর্গল লালা পড়া।
২) হঠাৎ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যাওয়া।
৩) আঘাত না লাগা সত্বেও হঠাৎ করে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া।
৪) পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর পরেও ক্লান্ত হয়ে পড়া।
৫) কখনো কখনো ত্বকের মধ্যে চুলকানি বা রাশ বেরিয়ে আসা।
৬) খিদে না লাগা খাবারে অনীহা দেখা দেওয়া।
৭) হাত পা ব্যথা বা দুর্বল অনুভব হওয়া।
৮) অনেক সময় দেখা দেয় ঘুমিয়ে পড়ার পরেও দেখা যায় চোখ আংশিকভাবে খুলে থাকা।
শিশুর শরীরে কৃমি থাকলে বিভিন্নভাবে শিশুর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যেমন রক্তাল্পতা, আয়রন ডেফিসিয়েন্সি, অমনোযোগী হওয়া বা শিশুর বৃদ্ধি দিকেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটা গবেষণা দ্বারা জানা গিয়েছে, ৮৫% কৃমি মানুষের পেটে থেকে তৈরি হয়। পেটের মধ্যে কৃমি জন্মালে উপযুক্ত লক্ষণগুলি দেখা যেতে পারে। তবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই খুবই সহজে কৃমি নিরাময় করা সম্ভব হয়।
∆ কৃমি দূর করার কয়েকটি সহজ উপায়:-
১) কাঁচা হলুদ:- কাঁচা হলুদ এন্টিবায়োটিকের কাজ করে। তাই নিয়মিত এটি খেতে পারলে কৃমি কে ধ্বংস করে দেয়।
২) কাঁচা রসুন:- গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২০ প্রকার কৃমি কে নষ্ট করে ফেলে কাঁচা রসুন। তাই রসুনের কোয়া কুচি করে নিয়মিত শিশুকে খাওয়ান।
৩) আদা:- পেটের সমস্যায় আদার জুড়ি মেলা ভার। পেটের ইনফেকশন থেকে শুরুকরে পেট ব্যথা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ইত্যাদি দূর করে আদা। সেই সাথে শিশুর পেটে কৃমি হলে নিয়মিত আদা রস খাওয়ানো একটি কৃমিকে দূর করতে সক্ষম।
৪) পেঁপে:- কৃমি দূর করা উপকারী একটি ফল হচ্ছে পেঁপে। কাঁচা হোক বা পাকা পেঁপের বীজ খাওয়ালে এটি কৃমি কে ধ্বংস করে দেয়। তাই দ্রুত ফল পেতে শিশুকে কাঁচা পেঁপে খাওয়ার।
৫) শসার বীজ:- পেটে কৃমি জন্মালে শসার বীজ তা ধ্বংস করতে সক্ষম। শসার বীজকে শুকিয়ে নিয়মিত শিশুকে চামচ করে খাওয়ান। এটি খুবই কার্যকরী।
সতর্কতাঃ শিশুর পেটে কৃমি জন্মালে উপরিক্ত টোটকাগুলি একটানা দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ানো উচিত নয়। প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।