আমি শোয়েব আখতারের চেয়েও দুইবার দ্রুত বল করেছি, দাবি পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসারের

পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সামি যখন প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা শুরু করেন তখন সবার মনে হয়েছিল তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক নাম অর্জন করবেন। তিনি পাকিস্তানের দ্রুততম বোলারদের একজন ছিলেন এবং এখন দাবি করেছেন যে তিনি দুবার ১৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে দুইটি ডেলিভারি করেছেন, কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ডেলিভারি রেকর্ড করা হয়নি।

মোহাম্মদ সামি ও শোয়েব আখতার যখন একসাথে জুটি বেঁধে বোলিং করতেন তখন অনেক প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের ভীতসন্ত্রস্ত হতে দেখা গেছে। এই ফাস্ট বোলিং জুটি প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্নের চেয়েও কম ছিলনা। মোহাম্মদ সামি তার দ্রুত ডেলিভারির সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি দাবি করেছেন যে দুবার ঘণ্টায় ১৬০ কিমির বেশি অতিক্রম করেছেন কিন্তু তাকে বলা হয়েছিল যে স্পিডগান কাজ করছে না।

এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ সামি জানিয়েছেন, একটি এমন ম্যাচ ছিল যেখানে আমি ঘণ্টায় ১৬৪ কিমি ও ১৬২ কিমি বেগে বোলিং করেছি। কিন্তু আমাকে সেদিন বলা হয়েছিল যে বোলিং মেশিন কাজ করছে না, তাই তাদের গণনা সঠিক হয়নি। আপনি যদি বোলিং ইতিহাসের দিকে তাকান যে বোলাররা ঘন্টায় ১৬০ কিমি গতিতে বোলিং করেছেন, তারা মাত্র একবার বা দু’বার করেছেন, এটা এমন নয় যে তারা ক্রমাগত করেছেন।

জানিয়ে রাখি শোয়েব আখতার ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিলোমিটার বেগে বোলিং করেছিলেন, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবচেয়ে দ্রুততম বল বলে বিবেচিত হয়। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার ব্রেট লি ও শন টেইট ১৬০ কিমি গতিতে বল ছুড়েছেন। কিন্তু সামির দাবি যে তিনিও ১৬০ কিমির বেশি গতিতে বোলিং করেছিলেন যা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে রেকর্ডের খাতায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

মোহাম্মদ সামি পাকিস্তানের হয়ে, ৩৬ টেস্ট, ৮৭ ওয়ানডে এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৩ সালে শারজায় অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ওডিআই ম্যাচের সময় সামি তার ক্যারিয়ারের ১৫৬.৪ কিলোমিটার বেগে দ্রুত ডেলিভারি করেছিলেন। ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার প্রথম টেস্টে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। এর বছর দুয়েক পর তিনি এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন।